জানা গিয়েছে, গত শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ভর্তি হন রানি বারিখ নামে এক মহিলা। সেই সময় হাসপাতালে ডিউটি করছিলেন ডঃ মনরঞ্জন বিশ্বাস। ভর্তি হওয়ার পর কেটে যায় ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু তারপরও প্রসব না হওয়ায়, রোগির পরিবারের সদস্যরা ডাক্তারকে অনুরোধ করেন, যাতে রানিকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রাজি হন না চিকিৎসক।
advertisement
রানি বারিখের পরিবারের অভিযোগ, প্রসবের সময় শিশু কিছুটা বেরিয়ে এসে আটকে যায়। সেইসময় ডাক্তার বাচ্চার মাথা ধরে ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। প্রসব দ্বারে কাটাকাটিও করেন। অবশেষে পরের দিন বিকেলে বনগাঁ হাসপাতালে রেফার করেন রানিকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। রানির শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে।
বনগাঁ হাসপাতালে সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ রানি বারিখের সিজার হয়। শিশু ও মা, দু'জনের শারীরিক অবস্থাই ছিল আশঙ্কাজনক। আর লড়াই করার ক্ষমতা ছিলনা সদ্যজাতর। পরের দিন ভোর ৫ টা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে সদ্য পৃথিবীর আলো দেখা শিশুটি।
রোগির পরিবারে অভিযোগ, ডাক্তারের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে শিশুর! অসুস্থ মা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তারের শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান রানি বারিখের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-নামী ব্র্যান্ডের নকল মোড়কে আইসক্রিম ! রমরমিয়ে চলছিল নকল আইসক্রিমের কারবার