আরও পড়ুন: জমিয়ে শীত না পড়লেও হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পারদ পতন,বর্ষবরণের বাংলায় ঠান্ডা খেলা
হাড় কাঁপানো শীত ছিল না। তবে যে ঠান্ডা ছিল তা উপভোগ করার মতোই। তার দোসর হয়েছিল উত্তুরে হাওয়া। বড়দিনে এতটা ঠান্ডা মেলেনি। বাড়তি শীত আনন্দ আরও বাড়িয়েছে। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে সকাল সকাল অনেকেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বর্ধমানের পিকনিক স্পটগুলিতে। একদিকে চলেছে রান্নাবান্না, অন্যদিকে ক্রিকেট ব্যাডমিন্টন। এদিন ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের চরে। দামোদরের বালিয়ারি চিকচিক করা জলকে সাক্ষী রেখে চলল চড়ুইভাতি। অনেককে দামোদরে নৌকোবিহার করতে দেখা গিয়েছে। কাছে দূরে অনেক জায়গা থেকেই এসেছিল পিকনিক পার্টির দল। রান্নাবান্নার সঙ্গেই ঘুড়ি ওড়ানো, নাচাগানা। ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে বর্ধমানের ইদিলপুর, পাল্লা রোডে দামোদরের তীরে। ভালো ভিড় ছিল শহরের লাকুড্ডি জলকল মাঠে। অনেকে আবার ভিড় জমিয়েছিলেন শহর থেকে কিছুটা দূরে হলদিতে, খড়ি নদীর তীরে। অনেকেই পিকনিক করতে গিয়েছিলেন ওড়গ্রামের জঙ্গলে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী! ফুলের উপত্যকা ‘ন্যাড়া’, কী রয়েছে তার জায়গায়? ভুলেও এখন যাবেন না!
তবে এদিন ব্যাপক ভিড় হয়েছিল আউশগ্রামের জঙ্গলে। সেখানে ভালকি মাচানে ছিল কয়েকশো পিকনিক পার্টির ভিড়। অনেকে আবার গাড়ি নিয়ে ঘুরে দেখেছেন আউশগ্রামের জঙ্গল। অনেকে গিয়েছিলেন দেবশালা গ্রামে। কয়েকদিন আগেই এই গ্রামে আতংক ছড়িয়েছিল ভারতীয় চিতা। আদুরিয়া গ্রামে ময়ূর দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা। আউশগ্রামের আলপনায় সাজানো আদিবাসী গ্রাম ছিল এদিনের অন্যতম আকর্ষণ।
পরিযায়ী পাখিদের টানে পূর্বস্হলীর চুপি চরেও গিয়েছিলেন অনেকে। সেখানে চড়ুইভাতির সঙ্গে চলেছে ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখি দেখা। নৌকো নিয়েও পরিযায়ী পাখি দেখতে গিয়েছিলেন অনেকেই। সব মিলিয়ে সপরিবারে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আনন্দের মধ্য দিয়ে নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানালেন বর্ধমানের বাসিন্দারা।