এ দিন বিকেলে শিরোমনি প্রাঙ্গণে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল পর্যটন কেন্দ্রের দরজা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ছাড়াও পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি শাহা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক ডাঃ রেশমি কমল, জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার, বিধায়ক জুন মালিয়া, দিনেন রায়, উত্তরা সিংহ হাজরা, অজিত মাইতি-সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকগন।
advertisement
আরও পড়ুন: লেপের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু শিশুর, আসল ঘটনা কিন্তু হাড়হিম করে দেবে!
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জেলাশাসক জানান, প্রায় এক কিলোমিটার পরিধি জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র। বিভিন্ন দফতরের সহযোগে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রের পুকুর এবং কটেজগুলি। পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে ২ কোটি টাকা। এখানে রয়েছে গ্রাম্য পরিবেশে থাকার জন্য ন'টি কটেজ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে রানী শিরোমণি গড়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক আরও জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই ধরনের আরও কিছু পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এতে জেলা-সহ রাজ্যের পর্যটন শিল্পে উন্নতি সাধন হয়।
আরও পড়ুন: 'কলকাতার ১০ দিগন্ত'-তে তৃণমূল, তিলোত্তমার ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর শহর থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ভাদুতলা যাওয়ার পর ডান দিকের রাস্তা প্রায় ৬ কিমি পাড়ি দিলেই নজরে আসবে রানী শিরোমনির গড়ের ধ্বংসাবশেষ। আর ধ্বংসাবশেষের চারপাশ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে কুঁড়েঘরের আদলে কটেজ। যার মধ্যে রয়েছে আরামদায়ক থাকার বন্দোবস্ত। এ ছাড়াও রয়েছে গড়ের মধ্যে বিশাল পুকুর। এ দিক-ও দিকে দেখা যাবে ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপত্য।