আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পোয়া বারো জীবন্ত মডেলদের
একটা সময় এই সাগরদ্বীপে ছিল গভীর জঙ্গল। বিষধর সাপ ও ভয়ঙ্কর প্রাণীতে ভরা ছিল এই দ্বীপ। রুজি রুটির টানে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন পরবর্তীতে এই দ্বীপে আসা শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা এখানে এসে মাছ, মধু এসব সংগ্রহ করতেন। পরে ধীরে ধীরে এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে। সেসময় জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে বটবৃক্ষের তলায় এই দেবীর পুজো করে জঙ্গলে প্রবেশ করত স্থানীয়রা।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কথিত আছে, এই পুজো শুরুর পর থেকেই আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয়দের উপর হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণ অনেকটা কমে যায়। এরপর সেখানেই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এই আদি কালী মায়ের নাম ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়রা এখনও বিশ্বাস করেন এই কালী মায়ের অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। সেই বিশ্বাসেই প্রতিবছর কালীপুজোতে হাজার হাজার মানুষ আসেন এখানে। প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে একইভাবে পুজো চলে আসছে। এবার সেই কালী মা’র জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন মন্দির। বৃহস্পতিবার সেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
নবাব মল্লিক