মেদিনীপুর জেলায় পথদুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। যদিও পুলিশের দাবি, শেষ পাঁচ বছরে তুলনায় কিছুটা কমেছে। জেলা জুড়ে পথ দুর্ঘটনা আরও কমাতে এবার একেবারে অভিনব পন্থা বেছে নিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সারা বছর ধরে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাই’ফ কর্মসূচি চলে। এবার উৎসব আবহে পথ নিরাপত্তা প্রচারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পুজো কমিটির মধ্যে শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করা হয়। জেলার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে পাঁশকুড়া, হলদিয়ার দুর্গাচক ও কাঁথির রামনগর পুজো কমিটি। তাদের হাতে স্মারক ও পুরস্কার তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার স্বয়ং।
advertisement
জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘পথ নিরাপত্তা নিয়ে বছরভরই আমাদের নানা সচেতনতা কর্মসূচী চলে। কিন্তু দীপাবলীর সময় তমলুক শহরে জনসমাগম বেড়ে যায় বহুগুণে। তাই এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শহরের প্রতিটি কোণায়, প্যান্ডেল থেকে শুরু করে বড় বড় বিপণি কেন্দ্র পর্যন্ত পথ নিরাপত্তার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে’।
আরও পড়ুনঃ সফল অপারেশন রাইনো! দুর্যোগের পর ১০ গন্ডারকে ঘরে ফিরিয়ে উল্লাস জলদাপাড়ায়, রাতে বনকর্মীদের খানাপিনা
এছাড়া পুজোর দিনগুলিতে নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করে চলা ২৫ জন ট্রাফিক পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারকেও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের হাতে শংসাপত্র ও উপহার তুলে দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এঁরাই বাস্তবে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ মিশনের মুখ। তাঁদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমেই উৎসবের দিনগুলিতেও শহর জুড়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোতেও একই উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও পুজো প্যান্ডেলের প্রবেশপথে ‘সেভ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বার্তা-সহ ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ কর্মীরা সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে হেলমেট ব্যবহার, নির্ধারিত গতিসীমা বজায় রাখা ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি না চালানোর মতো সচেতনতা বার্তাও প্রচার করছেন। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার নিখিল অগ্রাওয়াল, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ ট্রাফিক শ্যামল মণ্ডল সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা।