এ ধরনের সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরিতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সরকার ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা দেবে। বাকিটা কৃষকদের দিতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত পেঁয়াজ রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: খড়দহে অধ্য়াপকের ফ্ল্য়াটে টাকার পাহাড়! রাতভর তল্লাশিতে মিলল ৩২ লক্ষ
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় অনেকেই এই ধরনের পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়েছেন। সেই সংখ্যা আরও বাড়াতে উদ্যোগী সরকার। উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য পেঁয়াজ চাষে স্বনির্ভরশীল হতে চাইছে। সেই কারণে চাষিদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় আগের তুলনায় পেঁয়াজ চাষ অনেক বেড়েছে। বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের এলাকাও বেড়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমাতেও এই চাষ বেড়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩১৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। ৫২ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।
advertisement
আমাদের রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়লেও চাহিদার তুলনায় তা নেহাতই কম। বছরের বেশিরভাগ সময় বাইরের রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা গেলে বেশিদিন তা রাখা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্য করে বিদেশ ভ্রমণে, শোকজের চিঠি ধরানো হল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসককে
পেঁয়াজ সংরক্ষণের তেমন পরিকাঠামো না থাকায় চাষিরা সমস্যায় পড়েন। মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে অল্প দামে তা বিক্রি করে দিতে তাঁরা বাধ্য হন। বাড়িতে বেশিদিন পেঁয়াজ রাখা যায় না। কিন্তু এই সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে তাঁরা চার থেকে পাঁচ মাস পেঁয়াজ রাখতে পারবেন। অসময়ে পেঁয়াজের দামও ভাল পাবেন। অন্য়দিকে রাজ্য়েই পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়লে ভিন রাজ্য়ের উপরে নির্ভরশীলতা কমবে। কমবে পরিবহণ খরচ। ফলে সুফল পাবেন গ্রাহকরাও।
পূর্ব বর্ধমান জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক রাহুল ভট্টাচার্য বলেন, সংরক্ষণ কেন্দ্র কেমন হবে তার স্কেচ চাষিদের দেওয়া হবে। সেই মতোই তাঁদের ঘর তৈরি করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।