এই সকল নার্সারির উপর নির্ভরশীল রয়েছেন পূর্বস্থলী এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। এই প্রসঙ্গে একজন নার্সারি মালিক শঙ্কর দত্ত বলেন, “আগে তাঁতের জন্য পূর্বস্থলীর খ্যাতি ছিল তবে এখন সেটা হয়েছে নার্সারির জন্য। এই এলাকায় প্রচুর নার্সারি। পূর্বস্থলীর অর্থনীতি এখন এই নার্সারি ব্যবসার উপর চলছে। হাজার হাজার মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।” এই নার্সারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে বর্তমানে জীবনজীবিকা অতিবাহিত করছেন এলাকার বহু যুবক। একসময় যেমন এখানকার তাঁতের ব্যাপক চাহিদা ছিল। ঠিক সেরকমই বর্তমানে কদর বেড়েছে পূর্বস্থলীর নার্সারি থেকে প্রাপ্ত গাছের। পূর্বস্থলী রেলগেট পার করে গ্রামে প্রবেশ করার পর রাস্তার দুপাশে তাকালেই চোখে পড়বে বিভিন্ন নার্সারি।
advertisement
আরও পড়ুন: আমের ওজন ২ কেজি! হিমসাগর, ল্যাংড়াকে অতীত করে এবার চাহিদা বাড়ল বিদেশি সব চারার, মিলছে এই নার্সারিতে
প্রত্যেক নার্সারির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে একাধিক পরিবার। এলাকার বহু শিক্ষিত ছেলেরাও এখন পেশা হিসেবে এই নার্সারি শিল্পকেই বেছে নিচ্ছেন। এমনও অনেক রয়েছেন যাঁরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাশ করে চাকরি না করে এই পেশাকেই বেছে নিচ্ছেন। নার্সারিতে কর্মরত সত্যজিৎ পাল নামের এক যুবক বলেন, “শিক্ষিত ছেলেরাও এখন এই পেশাতেই যুক্ত হচ্ছে। এখান থেকে বেশ ভাল উপার্জন হচ্ছে। আমাদের এখানে সবধরনের গাছ পাওয়া যায়। আগে আমরা বাইরে কাজে চলে যেতাম, কিন্তু নার্সারি বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদেরও অনেক সুবিধা হচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে পূর্বস্থলীর বিভিন্ন নার্সারি থেকে চারা গাছ পাড়ি দেয় রাজ্য তথা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে শুধুমাত্র ভিনরাজ্য নয়, এখন পূর্বস্থলী থেকে চারা গাছ পৌঁছে যায় বিদেশেও। এখানকার নার্সারির গাছ এখন জেলা তথা রাজ্যজুড়ে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত প্রায় প্রত্যেকদিনই কোন না কোন নার্সারি থেকে চারা গাছ কিনে নিয়ে যান পাইকাররা। পূর্বস্থলীর প্রত্যেকটা নার্সারি যদি ঘোরা হয় তাহলে প্রায় সবরকম গাছের সন্ধান পাওয়া যাবে। বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমেও এখানকার চারা বিক্রি হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী