মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটে। আউটডোরের শিশু বিভাগে শিশুপুত্রটিকে মা সেলেফা খাতুন চেক আপের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সেলেফার মা হামিদা বিবি। শিশুটির বাবা সুজল সেখ ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। প্রসূতি বিভাগের আউটডোরের বারান্দায় সেলেফা খাতুন ও তার মা শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন। সেই সময় হলুদ রঙের চুড়িদার পরা রুমকি খাতুন নামে এক যুবতী তাদের কাছে এসে শিশুটিকে আদর করতে থাকে এবং কিছুক্ষণ পর কোলেও নেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ওই যুবতী শিশুটিকে কোলে নিয়েই সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে হামিদা বিবি তড়িঘড়ি জামাই সুজল সেখকে ফোন করে বিষয়টি জানান। সুজল সেখ সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
advertisement
ওদিকে শিশুটিকে নিয়ে বর্ধমানের কৃষ্ণপুরে মায়ের কাছে পৌঁছে যায় রুমকি। এলাকায় রটে যায় সে পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। পাশের বাড়ির বাসিন্দা রেবিনা বিবি বলেন, তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। শুনলাম রুমকির পুত্র সন্তান হয়েছে। কৌতূহল হওয়ায় দেখতে যাই। কিন্তু দেখেই সন্দেহ হয়। মনে হল, এ তো আজকে হওয়া শিশু নয়, নাভি শুকনো। তাছাড়া বেলা বারোটায় শিশুর জন্ম হল, আর হাসপাতাল মা শিশুকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ছেড়ে দিল! খটকা লাগে তখনই।
রেবিনা বলেন, “আমার বোনেরও বর্ধমান মেডিকেলে সন্তান প্রসব হয়েছে। সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমার মা তার কাছেই রয়েছে। সেই সময় মা ফোন করে জানায়, হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি হয়েছে, তা নিয়ে খুব শোরগোল হচ্ছে। এই ঘটনা শুনে মাকে রুমকির বিষয়টি জানাই। পুলিশকে বিষয়টি জানাতে বলি। এরপর সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে, রুমকি ও তার মাকে ধরে নিয়ে যায়”।