বর্ধমানের রমনাবাগান মিনি জু’তে চিতাবাঘ ছাড়াও রয়েছে ভল্লুক, কুমির, হরিণ সহ নানান পাখী। এরপর জলদাপাড়া থেকে এলো চিতাবাঘ শিবানী ও মনা। আলাদা এনক্লোজারে রাখা হবে তাদের।এর আগে তিনটি চিতাবাঘ ছিল এই অভয়ারণ্যে। ধ্রুব, কালী ও তাদের সন্তান। মেয়ে চিতা কালীর বয়স অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় তাকে আলাদা এনক্লোজারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিনি জু কর্তৃপক্ষ।
advertisement
দুটি চিতাবাঘ ছাড়াও আনা হলো ১৮টি নতুন প্রজাতির পাখি। আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে আনা হয়েছে ৪টি লুটিনো প্যারাকিট ও ১৪টি ককাটিয়েল পাখি। এছাড়াও সিংহ, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, জলহস্তি সহ বিভিন্ন প্রাণী এই মিনি জু-তে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
নতুন দুটি চিতাবাঘ ও পাখী আসায় এই মিনি জুয়ের আকর্ষণ অনেকটাই বাড়ল বলে মনে করছেন দর্শকরা। বিভাগীয় বনাধিকারীক সঞ্চিতা শর্মা জানান, দু’টি নতুন চিতাবাঘের জন্য আলাদা খাঁচা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, পাঁচটি রাতে থাকার আশ্রয় এবং নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে আনা হয়েছে ৪টি লুটিনো প্যারাকিট ও ১৪টি ককাটিয়েল পাখি। আরও বেশ কয়েকটি পশু আনার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
রমনাবাগান মিনি জু সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন পশুপাখীদের জন্য নির্দিষ্ট থাকার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যে দুটি চিতাবাঘ ও পাখি এসেছে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই মিনি জু-র নতুন বাসিন্দাদের দেখতে পাবেন দর্শকরা৷