১৯২০ সালে এই মঠের প্রতিষ্ঠা করেন নিত্য গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ।তাঁর সঙ্গে মাস্টারদা সূর্য সেন-সহ অন্যান্য বিপ্লবীর নিবিড় যোগাযোগ ছিল। তাই এই মঠ বিপ্লবীদের আখড়া ও নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছিল। ১৯৩০ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই মঠে এসে দু-দিন দু-রাত্রি ছিলেন।
বাংলাদেশের বরিশালে জন্ম উপেন্দ্রনাথ পালের। তিনিই পরে সন্ন্যাস গ্রহণ করে গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ নামে পরিচিত হন। কলকাতায় থাকার সময় এই উপেন্দ্রনাথের সঙ্গে বিপ্লবী চিন্তাহরণ মুখোপাধ্যায়, শরৎ পালের ওঠাবসা ছিল। পরে অনেক বিপ্লবীও তাঁর কাছে দীক্ষা নেন। বিপ্লবী সূর্যনারায়ণ পাল, রাজু স্যানাল, নিমাই রায়, খণ্ডঘোষের বটুকেশ্বর দত্তের মতো অনেকেই এই মঠে আসতেন। রাতের অন্ধকারে চলত গোপন বৈঠক। চলত দেশকে স্বাধীন করার বিভিন্ন পরিকল্পনাও।
advertisement
আরও পড়ুন : পর্যটনকেন্দ্র অধরাই, সুবলদহ গ্রামে রাসবিহারী বসুর জন্মভিটে আজও অবহেলিত
পরে নিত্য গৌরবানন্দ মহারাজ কালনা কংগ্রেসের সভাপতি হন। এ ছাড়া কলকাতায় থাকার সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের কাজে সুভাষচন্দ্র বসু কালনার এই মঠে এসে একটি কুঁড়েঘরে দুদিন-দু রাত্রি ছিলেন। এইসব বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশ সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয় নিত্য গৌরবানন্দ মহারাজকে। ১৯৩০ সালের ১৪ই জুলাই নিত্য গৌরবানন্দ মহারাজকে ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ গ্রেফতারও করে।
আরও পড়ুন : উচ্চতায় টেক্কা আইফেল টাওয়ারকেও! ভূস্বর্গে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে চেনাব রেলসেতু
এখনও এই মঠে সংরক্ষিত রয়েছে নেতাজির ব্যবহৃত কাঠের চেয়ার, খাবার টেবিল, খাট, এমনকি একটি কাঁথাও। স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই মঠ। তাই এই মঠ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র হোক, চাইছেন বাসিন্দারা। মঠের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি সহযোগিতার চায় বর্তমান মঠ কর্তৃপক্ষ।