চায়ের দোকানি শংকরপ্রসাদ পালের মা-বাবা মারা যান ছোটবেলাতেই৷ অনাথ শংকরপ্রসাদ বিভিন্ন হোম ঘুরে সিউড়ির হোমে আসেন৷ তৎকালীন জেলাপ্রশাসনের সাহায্য়ে পড়াশোনা শেষ করেন৷ তারপর সিউড়ির সাহিত্য় পরিষদ ও বিবেকানন্দ লাইব্রেরির দেখভালের দায়িত্ব পান শংকরপ্রসাদ৷ সঙ্গে চায়ের দোকানও চালানো শুরু করেন তিনি৷ ছোট থেকে রামকৃষ্ণদেব আর নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত৷
আজাদ হিন্দ বাহিনীর ইতিহাস তাঁর মনোবল বাড়ায়৷ শংকরপ্রসাদের দাদা দ্বিজেন পাল ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ৷ চিন-ভারত যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন তিনি৷ তখন থেকেই নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত ভাই শংকরপ্রসাদ৷ মানুষের সেবা করাই ধর্ম হিসেবে মানেন চায়ের দোকানদার৷ ছুটির দিনে দোকানে আসা দুঃস্থদের নিখরচায় চা খাওয়ান৷ জীবনের বাকি দিনগুলো নেতাজিকে মনে করেই কাটাতে চান সিউড়ির শংকরপ্রসাদ পাল৷
advertisement
সুপ্রতিম দাস