পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই নাবালিকার বাড়ি মেমারির করন্দা এলাকায়। বড় বোন স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ঘটনার দিন ওদের বাবা মা কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিল দুই বোন। অভিযোগ, বড় কারও না থাকার সুযোগেই সেই সময় তাদের বাড়িতে ঢোকেন স্হানীয় বাসিন্দা শ্যামসুন্দর সিংহ।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টে এসে যোগ্য়তা প্রমাণ তৃণমূল নেতার, মামলাকারীকেই জরিমানা করলেন বিচারপতি
advertisement
অভিযোগ, ঝাড়ফুঁক করার নাম করে দুই বোনের উপরেই যৌন নির্যাতন চালায় শ্যামসুন্দর। পরে বাবা-মা বাড়ি ফিরলে বড় মেয়ে তাঁর মাকে সব কথা খুলে বলে। ছোট বোনের উপরেও একই রকম নির্যাতন হয়েছে বলে জানায় সে। এরপরই শ্যামসুন্দরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুই নাবালিকার মা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামসুন্দরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, নরেন্দ্রপুরে উদ্ধার বিবস্ত্র, বেহুঁশ তরুণী! গণধর্ষণে অভিযুক্ত হবু স্বামী, দেওর
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালতে শ্যামসুন্দরকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। অবশ্য তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতে ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বিচারক এবিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দুই নির্যাতিতা ও তাদের মায়ের গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিশ।