এরপর শনিবার হাওড়ার মঙ্গলা হাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে এলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এ দিন তিনি কথা বলেন, মঙ্গলা হাটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। আগুনে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কত, পাশাপশি ব্যবসায়ীরা ঠিক কী চাইছেন, তাও বোঝার চেষ্টা করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
আরও পড়ুন: গাড়িতে আরও অস্ত্র, মমতার বাড়ির সামনে কেন গিয়েছিল নুর আমিন? বাড়ছে রহস্য
advertisement
নওসাদ সিদ্দিকি এ দিন ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানান, ‘ব্যবসায়ীদের একাধিক অভিযোগ করেছেন, প্রধান অভিযোগ এই জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শতকরা পঞ্চাশ শতাংশ মানুষকে আমি আগে থেকে চিনি। কেউ কেউ আমার দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, কেউ আমার ভালবাসার মানুষ। মাত্র একটা দমকলের গাড়ি ছিল, প্রচুর দোকানের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে সুকৌশলে। আমি তদন্তের স্বার্থে ভিতরে ঢুকলাম না। আমি চাই তদন্ত সঠিক ভাবে হোক, আর আগামী সোমবার থেকেই যেন এখানকার ব্যাবসায়ীরা ব্যাবসা করতে পারেন তার ব্যবস্থা হোক। অন্য কোনও জায়গায় নয়, এখানেই ব্যবসা করতে দিতে হবে কারণ সামনেই পুজো।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে হাওড়া থানার পাশে অবস্থিত মঙ্গলা হাটে। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় মঙ্গলা হাটের কয়েকশো দোকান পাট। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে ভয়াবহ এই আগুন। ক্ষতির পরিমাণ সঠিক জানা না গেলেও, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য অনুযায়ী ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছুঁতে পারে৷