মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত পাঁচথুপি গ্রাম। ১৯১৯ সালে এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর বই পড়ার পাঠক সংখ্যা এখানে অনেক। শুধু বড়রা নয়, বইয়ের পাঠকের তালিকায় রয়েছে খুদেরাও। ৮ থেকে ৮০ প্রায় আড়াই হাজার পাঠক সংখ্যা এই পাঠাগারে।
আরও পড়ুনঃ শুধু স্কুল-কলেজে নয়! সংশোধনাগারেও বাড়ছে বইয়ের ‘পোকা’
advertisement
বই জ্ঞান সঞ্চার করে। কিন্তু ‘গল্পের বই পড়া’র আয়ু বোধ হয় আর বেশি দিন নেই। বিশেষ করে এখন যে সকল বাচ্চাদের বয়স দশ বছরের নিচে, তারা হয় পড়ার বইয়ের তলায় চাপা পড়ে থাকে, নয়তো টিভি, মোবাইল, আইপ্যাড, ল্যাপটপে চোখ আটকে রাখে। সেখানে রঙিন গল্প-ছড়ারা নড়ে চড়ে, কথা বলে। বইয়ের পাতার মতো এক জায়গায় আটকে থাকে না। তাই অডিও-ভিস্যুয়ালের নেশা যেমন হু হু করে বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে কমছে বই পড়ার আগ্রহ। এই আগ্রহ ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। তবে এই গ্রন্থাগারে বিকাল হতেই বই পড়তে দেখা যায় অনেক পড়ুয়াকে।
গ্রন্থাগার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের যুগে অডিও-ভিস্যুয়ালের নেশা যেমন হু হু করে বাড়ছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে কমছে বই পড়ার আগ্রহ। এই আগ্রহ ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের মধ্যেও এই অভ্যাস ফিরিয়ে আনা জরুরি। স্মৃতিশক্তি, বৃদ্ধির পাশাপাশি সহানুভূতি বৃদ্ধি করতেও নিয়মিত বই পড়া উচিত। এ ছাড়া নতুন শব্দভান্ডার তৈরি করতেও এই অভ্যাসের জুড়ি নেই। পড়ার অভ্যেসটা যাতে একেবারে ছোট বয়স থেকেই খুদেদের মধ্যে তৈরি হয়, তার জন্য অভিভাবককে একটু বেশি যত্নশীল হতে হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খুদে বইপ্রেমীরা জানিয়েছেন, আমরা দৈনন্দিন বিকালে এখানে বই পড়ে আনন্দ উপভোগ করি। বই পড়ার পাশাপাশি ক্যারাম খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই গ্রন্থাগারে।