সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট মহকুমার জাতীয় সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। মূলত এই লালমাটির জেলা বীরভূমের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। রানিগঞ্জ থেকে মোড়গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই বীরভূম জেলার দুররাজপুর, সিউড়ি, মহম্মদবাজার, মল্লারপুর, রামপুরহাট ও নলহাটির ওপর দিয়ে চলে যাওয়া এই জাতীয় সড়ক যা মিশেছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে।
advertisement
এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়ক। ছোট ও বড় মিলিয়ে সড়কের উপরে রয়েছে প্রায় ৪০টির বেশি সেতু। যেগুলির কোনওটির বয়স ৭০, কোনওটির ৫০-৬০ বছরের কাছাকাছি। যখন এই ব্রিজ তৈরি হয় সেই সময়ে ৫-১০ টনের গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে, এমন নকশাতেই সেতুগুলি তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমানে ওই সেতুর উপর দিয়ে ১০০ টনের বেশি মালপত্র বোঝাই যানবাহন অনবরত যাতায়াত করছে। অতিরিক্ত ভারী গাড়ি চলাচলের ফলে প্রায়ই সেতুগুলির জায়গায় জায়গায় পিচ-পাথর উঠে ঢালাইয়ের খাঁচা বেরিয়ে পড়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোথাও আবার উপরের স্ল্যাব ভেঙে গিয়েছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি একটু ভারী যান চলাচল করলেই কাঁপতে শুরু করে সেতুগুলি। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে। তবে কয়েক বছর আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেমে জেলায় ব্রাহ্মণী, দেউচা ব্যারেজ, দ্বারকা ক্যানেল, কুলে ব্রিজ, মহম্মদাবাজারের ক্যানেল ব্রিজ, তিলপাড়া রাইট ও লেফ্ট ক্যানেল, চন্দ্রভাগা, চিনপাই, দুবরাজপুরের সিঞ্জুরি ১ ও ২ ব্রিজ সহ আরও একটি ব্রিজকে দুর্বল ঘোষণা করে। যদিও তখন সেতুর উপর পিচের প্রলেপ আর রেলিংয়ে রঙ করা ছাড়া কিছুই হয়নি। এসব সেতুই সংস্কার হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বর্তমানে নলহাটিতে ১৯৬০ সালে নির্মিত ব্রাহ্মণী নদীর উপর ব্রিজের ঢালাইয়ের একাংশ ভেঙে গিয়ে শুধু ভেঙে গিয়েছে সেটা না শিক ও লোহার রড পর্যন্ত বেরিয়ে গিয়েছে। যদিও চলতি বছর ব্রাহ্মণীর পাশাপাশি একাধিক ব্রিজেরও একই অবস্থা হয়। এখন ব্রাহ্মণী ব্রিজের পাশেই নদীবক্ষে অস্থায়ী কজওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। যাতে যানবাহন চলাচল সচল থাকে। সেটা হওয়ার পরই ব্রিজ সংস্কার শুরু হবে জানা গিয়েছে।






