TRENDING:

Amazing Masland Madur: কাগজ, ফটো পেপার অতীত! এবার মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! শিল্পীর অভূতপূর্ব শিল্পকলা অবাক করছে সবাইকে

Last Updated:

এই মাদুর আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশেও

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: সাদা কাগজে পোট্রেট নয়, কিংবা ফটো পেপারে ছবি প্রিন্ট নয়, আপনি কি জানেন? মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনার প্রিয়জনকে দিতে পারবেন তারা কাজ ছবি একটি মাদুর। জেলার প্রান্তিক এই এলাকার বহু মানুষ বোনেন এমন মাদুর। শুধু এই মাদুর বোনা পেশা নয়, এই পেশার কারণে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারি স্বীকৃতি। গ্রামেরই এক গৃহবধূ সূক্ষ্ম আঁশে মাদুর বুনে পেয়েছেন সম্মান। শুধু তাই নয়, দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই মাদুরের চাহিদা রয়েছে বেশ। বিক্রিও ভালই। ডবল মাদুর নয়, বরং এই মাদুরের চাহিদা এবং দাম দুইই বেশি বাজারে।
advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লক—শুধু একটি প্রশাসনিক নাম নয়, এক ঐতিহ্যের ঠিকানা। প্রত্যন্ত গ্রামে এলাকার এই ছোট্ট গ্রাম এখন দেশ ও দশের কাছে স্বীকৃত। এই এলাকার গ্রামীণ মানুষের হাতের ছোঁয়া ও শিল্প নিপুণতা এনে দিয়েছে সম্মান। জেলা ছাড়িয়ে দেশের রাজধানীতেও আজ বেশ নাম করেছে প্রত্যন্ত এই গ্রামীণ এলাকা। এখানকার মাদুর শিল্প আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশেও। বিশেষ করে সবং ব্লকের সারতা সহ আশপাশের গ্রামগুলোতে ঢুকলেই দেখা মেলে এক অনন্য চিত্র। ঘরের উঠোনে, বারান্দায়, কখনও আবার খোলা উঠোনে পরিবারের মহিলা, পুরুষেরা মিলে মাদুর বুনছেন নিপুণ হাতে।

advertisement

আরও পড়ুন: আইআইটি খড়্গপুরের মুকুটে নতুন পালক, এবার আইআইটি খড়্গপুরের উদ্ভাবনী পৌঁছে যাবে বিশ্বের দরবারে

এই গ্রামেরই মাদুর শিল্পী গৌরীবালা দাস, যিনি নকশা খচিত বিশেষ ধরনের মাদুর ‘মতরঞ্জি’ তৈরি করে পেয়েছেন জাতীয় স্বীকৃতি। তার হাতে তৈরি মাদুর উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া হয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের হাতে। শিল্পীর হাতে শিল্প নিপুণতা এবং মাদুরের মধ্যে প্রাকৃতিক দৃশ্য বিভিন্ন মনীষীর ছবি, এমনকি নানা পোর্ট্রেট ফুটিয়ে তোলার জন্য পেয়েছেন জাতীয় সম্মান। এই সম্মান শুধু গৌরীবালার নয়, গোটা সবং, গোটা মেদিনীপুরের।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

শুধু ছাপানো বা সাধারণ মাদুরই নয়, শিল্পীরা তৈরি করেন নকশা খচিত নানা জিনিস। বর্তমানে এলাকায় বিখ্যাত মতরঞ্জি বা মসলন্দ মাদুর। যা সূক্ষ্ম আঁশ দিয়ে বুনেন মাদুর শিল্পীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৯ সালে এই গ্রামে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হয় মাদুর রিসার্চ সেন্টার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের অধীনে এটি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ডঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া এই শিল্পকে বিশ্বমানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে বরাবর পাশে থেকেছেন শিল্পীদের। স্বাভাবিকভাবে জেলার এই প্রান্তিক ক্লাব শুধু একটি অখ্যাত গ্রাম নয় গোটা দেশের কাছে নাম করেছে জেলার এই গ্রামের শিল্পীরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আতঙ্কের রাত শেষ হওয়ার আগেই এল 'মহা'প্লাবন! বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল সব
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Amazing Masland Madur: কাগজ, ফটো পেপার অতীত! এবার মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! শিল্পীর অভূতপূর্ব শিল্পকলা অবাক করছে সবাইকে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল