রানাঘাটে তাহেরপুরের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এবার নির্বাচনে জিত হাসিল করা শুধু মুশকিলই নয় ৷ কার্যত অসম্ভব ৷ কারণ, দিদির বিরুদ্ধে শুধু মোদি নন, বাংলার মানুষ লড়ছে ৷’
মঙ্গলবারের পর বুধবার। ফের পশ্চিমবঙ্গে ভোটপ্রচারে নরেন্দ্র মোদি। নিশানায় একজনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদি আরও বলেন, ‘স্পিডব্রেকার দিদি স্টিকার দিদিও। কেন্দ্র প্রকল্পের টাকা পাঠায়। দিদি শুধু স্টিকার লাগিয়ে দেন। বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ, সস্তায় রেশন - এ সবই দিল্লি থেকে আসে। দিদি সুধু স্টিকার লাগান। আর তোলাবাজির ট্যাক্স লাগান। বুয়া-ভাতিজার খেলা বাংলার মানুষ বুঝে গেছেন ৷’
advertisement
এ দিন রানাঘাটের সভা থেকে ফের বাংলায় এনআরসির হুমকি দেন নরেন্দ্র মোদি। আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রীকে। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার জন্য কীভাবে পালটি খেতে হয় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মমতা। ২০০৫ সালে যিনি অনুপ্রবেশকারীদের হঠাতে সংসদে চোখের জল ফেলতেন, তিনিই এখন রাজ্যে তাদের আশ্রয় দেন। কিন্তু, চৌকিদার চৌকন্না হ্যায়।’
তৃণমূলকে বিঁধতে এ দিনও মোদির অস্ত্র চিটফান্ড। তিনি বলেন, ‘২৩ মে ফের মোদি সরকার। তারপর বড় পদক্ষেপ করা হবে। যারা চিটফান্ডে লুঠেছে তাদের ঠিক জায়গায় পাঠানো হবে। চোখের জলের পাই পাই হিসেব নেওয়া হবে। সারদা-নারদ-রোজভ্যালির পিছনে যারা আছেন তারা কেউ বাঁচবেন না। সে নেতাই হোক বা অফিসার ৷’
নদিয়ার রানাঘাটে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক একটা ফ্যাক্টর। সেই রানাঘাটের তাহেরপুরের সভা থেকেই মোদির অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মতুয়াদের সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায় তৃণমূল। তাহেরপুরের আগে এ দিন বীরভূমের বোলপুরে সভা করেন মোদি। সেখানেও তিনি নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রীকে।