অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কুণাল ঘোষকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বললেন, 'যিনি সাড়ে তিন বছর জেল খেটে এসেছেন, যাকে আমি বাচাল ঘোষ বলি তাঁর উচিত নয় শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো। চোরেরা যদি শহিদদের শ্রদ্ধা জানায় তাহলে তো শহিদরা অপবিত্র হয়ে যায়'। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা জবাব, যাঁরা মেরেছিল তাঁরা আবার মালা দিল। এই অভিযোগটা সবাই করছেন। এটা তো সব থেকে বড় অপমান শহিদদের'।
advertisement
আরও পড়ুন: মদ্যপানের পর মিলনের অভ্যেস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে! জানুন
শনিবার শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস ঘিরে নন্দীগ্রামে ফের সম্মুখসমরে তৃণমূল বনাম বিজেপি। একই ব্যানারে আলাদা আলাদা স্মরণ সভা। বাগযুদ্ধে শীতের শনিবাসরীয় নন্দীগ্রাম ছিল গরম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে,' নন্দীগ্রামে বিজেপি বনাম তৃণমূলের মধ্যে কৃতিত্বের কাড়াকাড়ি নজরে এল'। শাসক দল তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে শুভেন্দুর এও মন্তব্য,' ওরা পতাকা টাঙিয়েছে। শহিদ স্মরণে রাজনীতি করা উচিত নয়। কিছু হালি নেতা এবং কর্মচারীদের শহিদ স্মরণ আসলে নাটক'। পাল্টা কুণাল ঘোষের কথায়,' আজকে থেকে নতুন আন্দোলন শুরু হবে। যারা খুনি। যারা আততায়ী, তারা কেন শহিদ বেদিতে মালা দিলেন, যারা একসময় সিপিএম করত আজ তারাই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন'।
আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত আর ক'দিন? কোথাও বাড়ছে কুয়াশা, কোথাও শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা! আবহাওয়ার বড় আপডেট
৭ জানুয়ারি ২০০৭। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উত্তপ্ত হয় নন্দীগ্রাম। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম ও ভরত মণ্ডলের। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতিবছর নন্দীগ্রামে পালিত হয় শহিদ দিবস। শনিবার আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করলো যুযুধান তৃণমূল ও বিজেপি। আলাদা আলাদা দুটি শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও কুণাল ঘোষ। দুই ফুল শিবিরের বাগযুদ্ধে চড়ল পারদ।