দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে বড়মার সুখ্যাতি। ২১ ফুটের নৈহাটির বড়মার ও তার সঙ্গে ১০০ কেজির উপর স্বর্ণালংকার দেখতে প্রতি বছরই ভক্তদের জনসমুদ্র লক্ষ্য করা যায় পুজোর কদিন। যে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদেরও।
আরও পড়ুনNadia News: ৬ বছরের মেয়ের এভারেস্ট জয়!
বড়মার কাছে কিছু চাইলে কাউকেই খালি হাতে ফেরার না বড়মা, তাই বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে বারংবার ছুটে আসেন অগণিত ভক্ত। জানা যায়, নবদ্বীপে রাস উৎসবে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখার পর, নৈহাটির নদিয়া জুটমিলের কর্মী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী বড় কালী পুজোর প্রচলন করেন। পরবর্তীতে বড় কালী বড়মা হিসেবে জনমানসে ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
পুজোর এই চারদিন দেবীর বিশেষ পুজো করা হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের আগেও মায়ের গায়ের ১০০ কেজি সোনার গয়না খুলিয়ে মাকে সাজিয়ে তোলা হয় ফুলের গয়না দিয়ে। মায়ের বিসর্জন দেখতেও হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান নৈহাটিতে। চাকা লাগানো ট্রলির উপর বিশাল আকৃতির বড়মার মূর্তি টেনে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে তারপর সেখানেই বিসর্জন দেওয়ার রীতি চলে আসছে।
এবারও বড়মার বিসর্জনকে ঘিরে সকাল থেকেই করা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা, চলছে বিশেষ পুজো। এরপর বড় মাকে ধীরে ধীরে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ফুলের গয়নায়। বেলা তিনটের পর থেকে নিরঞ্জন এর পথে যাবেন বড়মা। বড়মা পুজোকমিটির তরফ থেকে বারংবার প্রচার করা হচ্ছে ভক্তদের উদ্দেশে। কারণ সকাল থেকেই ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে নৈহাটি চত্বরে। যাতে কোন দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুজো কমিটির তরফে।
এবার ঘরে বসেই বড়মার নিরঞ্জন লাইভ দেখার সুযোগ থাকবে রাজ্যবাসীর। ফলে ভিড় এড়িয়ে মোবাইলেই সরাসরি বড়মার নিরঞ্জন দেখতে পারবেন ভক্তরা। তাই ভিড় এড়িয়ে ভার্চুয়ালি বড়মার নিরঞ্জন দেখার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসনও। এদিন প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী শুধুমাত্র ব্যাজ পরিহিত ভলেন্টিয়াররাই বড়মার সুবিশাল প্রতিমা টেনে নিয়ে যাবেন গঙ্গার ঘাটে, যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়৷ পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভক্তদের যাতে কোনরকম সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
Rudra Nrayan Roy