চাকরির জন্য যোগাযোগের সঙ্গেসঙ্গেই তারা ৪০১ টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে বলেন। তাকে জানানো হয় এই মূল্য দিতে হবে ফর্ম ফিল আপের জন্য। তারপর এই প্রক্রিয়ার পর ধাপে ধাপে বিভিন্ন নথিপত্র তারা চায় এবং নথিপত্রের সঙ্গে তারা টাকা দাবি করে। একটা সময় টাকা দিতে দিতে বিক্রমবাবু দেখেন, চাকরির জন্য তিনি এবং তার পরিবার ৭ লক্ষ ২ হাজার টাকা দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : চাঁদার জুলুমবাজি, যুবককে মারধর! ২ সাগরেদ সহ গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা রোহিত
কিন্তু বিপুল টাকা দেওয়ার পরেও কোনওরকম চাকরি না পাওয়ায়, টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করে বিক্রম মজুমদার ও তার পরিবার। তারপরেই তারা বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারপর আর বিলম্ব করেন নি তাঁরা। সোজা বসিরহাট সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সমস্ত রকম নথিপত্র জমা দেন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে বসিরহাট সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তদন্তে নামে। সেখান থেকে পুলিশ একটি প্রতারণা চক্রের হদিশ পেয়েছ।
আরও পড়ুন : মানসিক নির্যাতন, অফিসেই অস্বাভাবিক মৃত্যু কর্মীর! বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা
পুলিশ সূত্রে খবর, একে একে বিভিন্ন সময়ে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। একইসঙ্গে ৭ লক্ষ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে প্রতারকদের কাছে থেকে। সমস্ত টাকা উদ্ধারের পরে, সেই টাকা বিক্রম মজুমদার ও তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে বসিরহাট সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।