২১ ফুটের নৈহাটির বড়মার ও তার সঙ্গে ১০১ ভরির স্বর্ণালঙ্কার ও ২০০ কেজির রুপোর অলঙ্কারের সাজ দেখতে প্রতি বছরের মতো এবছরও ভক্তদের জনসমুদ্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। যে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদেরও।
advertisement
বড়মার কাছে কিছু চাইলে কাউকেই খালি হাতে ফেরার না বড়মা, তাই বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে বারংবার ছুটে আসেন অগণিত ভক্তরা। তবে এদিন সকাল থেকেই বড়মার বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। সকালেই হয় পুজো। এরপর, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রূপো অলংকার নিরাপত্তা সহকারে খুলিয়ে বড় মাকে পড়ানো হয় ফুলের বিশেষ কারুকার্য করা অলংকার। যা কিনা রাজ বেশ বলেই পরিচিত। লক্ষাধিক টাকার ফুলের মালা দিয়ে তৈরি, দীর্ঘ প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে এই রাজ বেশে সেজে ওঠেন নৈহাটির বড় মা কালী।
তারপরই কাঠামোর নিচে লাগানো চাকা ও রশিতে টান দিয়ে ভক্তদের মাঝেই ধীরে ধীরে বিসর্জনের ঘাটের দিকে এগিয়ে যায় বড়মার সুবিশাল মূর্তি। বড়মার বিসর্জন দেখতেও ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত ভক্ত। তাদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল প্রায় এক হাজার পুলিশ কর্মী। বিসর্জন দেখার সুবিধার জন্য অরবিন্দ রোডে জায়েন্ট স্ক্রিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
চারদিকে বড়মার জয়ধ্বনি উঠতে থাকে। অনেক ভক্তরই চোখে দেখা যায় জল। আবারও এক বছরের অপেক্ষা, তাই সকলেই বড়মার বিদায় বেলায় মনের প্রার্থনা জানালেন মা কে। ভক্তদের মাঝেই গঙ্গায় এ বছরের মতো বিসর্জন হলেন নৈহাটির বড় মা কালী।
Rudra Narayan Roy