সচেতনতা বাড়াতে সেন্টারের স্বাস্থ্যকর্মীরা বিভিন্ন ব্লকে গিয়ে নিয়মিত শিবির করেন, যেখানে সাধারণ মানুষকে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয় এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই নমুনা রানাঘাট সেন্টারে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নির্দিষ্ট ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র সরকারিভাবে পরিচালিত নমুনা সংগ্রহই নয় বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করাতে বহু সচেতন নাগরিক নিজেরাই এই কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্রের বিশেষত্ব হল, এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করা হয় এবং রিপোর্ট নাগরিকদের হাতে সরাসরি তুলে দেওয়া হয়।
থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত মেশিন বিশ্বের অন্যতম উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর বলে দাবি করেছে সংস্থা। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই মেশিনের থেকে আধুনিক প্রযুক্তির কোনও বিকল্প বর্তমানে বিশ্বের আর কোথাও নেই। সাধারণ প্রাইভেট চিকিৎসালয়ে এমন উন্নত মানের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকায় কলকাতায় এই পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ফলে রানাঘাট কেন্দ্রটির বিনামূল্যের পরিষেবা জেলার মানুষের জন্য বড় সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংস্থার ডিরেক্টর ড. রবীন্দ্রনাথ হালদার জানান, “নদিয়া জেলায় আমরা এই উদ্যোগ সফলভাবে চালাতে পারছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আগামী দিনে যেন একটিও সদ্যোজাত শিশু থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে জন্ম না নেয়। সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রতিদিন কাজ করছি।”
সরকারি সহায়তায় পরিচালিত এই আধুনিক স্ক্রিনিং সেন্টার নদিয়ার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।





