সকলে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এলাকায় ঘুরে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচার করেন। নদিয়ার শান্তিপুর বিডিও অফিসের আওতায় থাকা ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ চলছে। বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, এই প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য সংগ্রহ করে তা বিশেষ কেন্দ্রে মজুত রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই বর্জ্য টুকরো টুকরো করে রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা সম্ভব, তেমনই পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদ্ধতির মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদী।
advertisement
আরও পড়ুন: বিঘা প্রতি ১০০ টাকা…! তাতেই কামাল গ্রামবাসীদের, পুরোটা দেখলে আপনিও স্যালুট জানাবেন
মূলত ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন করা থেকে মানুষকে সচেতন করা। এর আগে গত ৩০ এবং ১ তারিখে স্কুলের বাচ্চারা বাড়িতে ব্যবহার্য সমস্ত প্লাস্টিকের ব্যাগ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছিল স্কুলে। সমাজের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এই প্লাস্টিক। চারিদিকে নর্দমা বন্ধ করে দিচ্ছে জল জমে যাচ্ছে সেই জমে থাকা জলে জন্ম নিচ্ছে মশা। এই রাস্তা তৈরি করতে এখনও পর্যন্ত আনুমানিক কত খরচ হতে পারে তা এখনও হিসেব করা হয়নি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বাজেট ঠিক করা হয়ে যাবে। এমনটা জানা যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ মারফৎ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শান্তিপুরের ভিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, “আমাদের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্লাস্টিক কালেকশনের জন্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট রয়েছে। সেখান থেকে এগুলি আসে এবং তারপর মালিপতায় আমাদের একটা কেন্দ্রের প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট রয়েছে। সেখানেই এই প্লাস্টিকগুলি আমরা আপাতত জড়ো করছি, ছোট ছোট টুকরো করছি এবং ভবিষ্যতে এই প্লাস্টিকগুলি আমরা বিটুমিনের সঙ্গে মিশিয়ে রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করব। বিটুমিনের সঙ্গে নির্দিষ্ট একটি মাত্রায় প্লাস্টিক মেশানো হবে যাতে রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়ে এবং রাস্তার গুণমানও খুবই ভাল হবে। অন্যান্য জায়গায় হলেও এই প্রথম আমাদের ব্লকে আমরা প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা বিটুমিনের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করছি।”
Mainak Debnath