এই ক্লাস্টারের আওতায় মোট ৫০৯ জন তন্তুজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৪ জন পুরুষ তাঁতি এবং ২৭৫ জন মহিলালো্গো তন্তুজীবী রয়েছেন। এই সংস্থার মাধ্যমে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী হস্তচালিত তাঁতের শাড়ি সংগঠিতভাবে বাজারজাত করা হবে। ফলে একদিকে যেমন তাঁতিদের তৈরি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে, তেমনই অন্যদিকে তন্তুজীবীদের জন্য তৈরি হবে স্থায়ী ও সম্মানজনক কর্মসংস্থানের পথ।
advertisement
ক্লাস্টার প্রকল্পের মাধ্যমে তন্তুশিল্পীদের আধুনিকীকরণেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট ৯০ জন তন্তুশিল্পী নতুন হস্তচালিত তাঁত পেলেন। পাশাপাশি আরও ৯০ জন তাঁতিকে হস্তচালিত তাঁতের সহযোগী সরঞ্জাম হিসাবে সুতো পাকানো চরকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৯০ জন তাঁতির জন্য জ্যাকার্ড মেশিন এবং আরও ৯০ জন তন্তুজীবীর জন্য জ্যাকার্ড মেশিনের সহযোগী সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি স্বয়ংক্রিয় সুতো ঘোরানোর মেশিন দেওয়া হচ্ছে ক্লাস্টারকে এবং ৫৮ জন তাঁতিকে নতুন তাঁত ঘর করার জন্য আনুমানিক ৮০০০০ টাকা প্রদান করা হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, শান্তিপুর-ফুলিয়ার হস্তচালিত তাঁতের শাড়ি বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করলেও বর্তমানে এই শিল্প ধীরে ধীরে সংকটের মুখে পড়ছে। ভিন রাজ্যের সস্তা কাপড় বাজার দখল করে নেওয়ায় এবং অধিক পরিশ্রম ও সময়সাপেক্ষ কাজের তুলনায় লাভ কম হওয়ায় অনেকেই এই পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে হরিপুর শ্রীবৃদ্ধি হ্যান্ডলুম ক্লাস্টারকে তাঁতিরা নতুন আশার আলো হিসেবেই দেখছেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সরকারি আধিকারিকগণ এবং স্থানীয় প্রধানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য শান্তিপুরের হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার তাঁতিরা। তাঁদের আশা, এই ক্লাস্টারের মাধ্যমে তন্তুজীবীদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার যেমন উন্নতি ঘটবে, তেমনই আবার পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে শান্তিপুরের হস্তচালিত তাঁত শিল্প।





