অতি সাধারণ এই পরিবারে প্রথম পুরস্কার প্রাপকের নাম জগন্নাথ মণ্ডল। বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি স্থানীয় পায়রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে অস্থায়ী ভিলেজ রিসোর্স পার্সন হিসাবে কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। মাসে বেতন হিসাবে সাড়ে ৫ হাজার টাকা তিনি পান। দোচালার টিনের ঘরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার জগন্নাথ মণ্ডলের। বুধবার সকালে পায়রাডাঙ্গার উকিলনাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকাকালীন অল্পবয়সী এক টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে স্রেফ নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য মাত্র ৩০ টাকার লটারির টিকিট কাটেন জগন্নাথ মণ্ডল। আর সেই টিকিটেই মিলে যায় প্রথম পুরস্কার।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতভর তল্লাশি, অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রায় ৩০ কোটি নগদ, ৫ কোটির সোনা!
আরও পড়ুন: উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকার উৎস কী? আর কোথায় টাকা? সকাল থেকে জেরা শুরু অর্পিতাকে
দুপুর একটার সময় লটারি খেলার ফলাফলে তিনি জানতে পারেন প্রথম পুরস্কার হিসাবে এক কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে তার কিনে রাখা লটারির নম্বরে। এরপর উৎসুক গ্রামবাসীরাও সন্ধ্যার পর তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন। পঞ্চায়েতের ওই অস্থায়ী কর্মী জগন্নাথ মণ্ডলের ইচ্ছা, গ্রামে একটি কালীমন্দির তৈরি করে দেওয়ার। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও তাঁর প্রাপ্ত অর্থের কিছুটা ভাগ করে দিতে চান তিনি।
অপ্রত্যাশিতভাবে এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি জগন্নাথ মণ্ডলের সহধর্মিনী মিতালি মণ্ডলও। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই স্বামী বলতেন, দেখো একদিন সুদিন ফিরবে। ঠিক তাই, ঠাকুর চেয়েছেন বলেই হয়তো এটা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বাস মিতালির।