কারণ যখন যে সরকার যে শাসক যখন যে কর্তৃপক্ষ ক্ষমতায় থাকে প্রত্যেকের নখ তীক্ষ্ণ এবং ধারালো, তারাই অনেক সময় থাবা বাসায় এই পেশার উপরে। অথচ তারাও শিল্পী আর শিল্পীর সত্তা শিল্পীর স্বাধীনতা কখনও খনন করা উচিত নয় বলেই গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান অনুযায়ী জানা যায়। কিন্তু সেই ধৈর্য সেই রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা বিষয় এখন আর নেই। একটা সময় এই ব্যঙ্গচিত্রগুলি থেকে রাজনৈতিক নেতা প্রশাসক তাদের ব্যর্থতাটা বুঝতে পেরে সেখান থেকে নিজেকে সংশোধন করে আরও বড় মাপের নেতা আরও সুদক্ষ প্রশাসক আরও সুন্দর দেশ কিংবা রাজ্য গড়ার কারিগর হয়ে উঠতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই চিত্রটি বদলে গিয়েছে, আজ অনেকেই এই ধরনের ব্যঙ্গচিত্র মেনে নিতে পারেন না হয়তো।
advertisement
আর সেই কারণেই স্বনামধন্য কার্টুনিস্ট যারা আছেন তাদের উপরে আইনি মামলা থেকে শুরু করে রোষানল নানা ধরনের হুমকি এমনকি গণতান্ত্রিক হত্যা হয়েছে। তাই তাদের এই কার্টুনিস্ট পেশায় এই নতুন করে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসছে না। ছবি আঁকতে অনেকেই বর্তমানে সুদক্ষ। তবে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে ছবি আঁকা এবং অবশ্যই তা সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে পরিপূরক হিসেবে কাজ করে সেইটাই কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এমনটাই ক্ষোভ উগরে দিলেন শান্তিপুরের স্বনামধন্য কার্টুনিস্ট কল্যাণ বাবু।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও তাঁর কথাই বেশ খানিকটা হতাশাও লক্ষ্য করা গেল যে গণতান্ত্রিক দেশে আলোচনা সমালোচনা, রাজনৈতিক বিতর্ক সেসবই ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই যে যেই ভুল কাজ করে যাচ্ছে তাকে সেই ভুল ধরানোর মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বর্তমানে। তবে তিনি তার সংগ্রহের বই একবার প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা থেকে এবং এখন তাঁর ইচ্ছে তাঁর হাতে বানানো যে সমস্ত রঙিন কার্টুনগুলি রয়েছে সেগুলি আগামী দিনে প্রকাশ করার। তিনি আশাবাদী কেউ হয়তো এগিয়ে এসে সাহসিকতার সঙ্গে আবারও এই হাল ধরবে হারিয়ে যাওয়া শিল্পকলার।





