জানা গিয়েছে, সৎ মায়ের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে সঞ্জিত দেবনাথকে বাবা সাত বছর বয়সেই মথুরাতে বড় ছেলের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানে দাদার কাছে কিছু দিন থাকার পর বাড়ি ফিরতে চান সঞ্জিত। এরপর একটি ট্রাক চালকের সঙ্গে ট্রাকে করে রওনা দেন। পথে পুলিশ তাকে ধরে। এভাবে কেটে যায় ছয় বছর।
আরও পড়ুন: ইংরাজি মাধ্যমের দাপটে ধুঁকছে সরকারি প্রাথমিক স্কুল! টিকে থাকতে নয়া উদ্যোগ
advertisement
তারপর সেখান থেকে রাজস্থানের এক দোকানে গিয়ে কাজ করেন তিন বছর। এতকিছুর পরেও একসময় বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি, বিয়েও করেন তিনি। এরপর মাস দুই আগে কামাখ্যায় যান তিনি। রাতেই ব্যাগ হারিয়ে ফেলে সঞ্জিত। এরপর সেখানে রাস্তার ধারে এক চা দোকানে কাজ করে সে। এরপর সেখান থেকে গঙ্গাসাগরে আসেন তিনি নদিয়ার কাউকে পেলে বাড়িতে ফিরবেন বলে। তিনি নিশ্চিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের মেলায় হাজার হাজার মানুষের মধ্যে কাউকে পেয়ে যাবেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিষয়টি নজরে আসার পর হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সদস্য দিবস মন্ডল বার্তা পাঠান নদিয়াতে। নদিয়ার এসডিডিএমও এবং হ্যাম রেডিওর সদস্য পুস্পেন্দু মজুমদার খুঁজে বের করেন সঞ্জিতের পরিবারের সদস্যদের। জানা গিয়েছে, সঞ্জিতের বাড়ি চার নম্বর ওয়ার্ড, নবদ্বীপ চটির মাঠ, বণিক নগর, নদিয়া। অবশেষে জানা গিয়েছে, সঞ্জিতের ছোট ছেলে সুজিত দেবনাথ ও স্ত্রী সুমিতা দেবনাথ গঙ্গাসাগর থেকে বাবাকে আনতে যাচ্ছেন।
নবাব মল্লিক