নদিয়ার তেহট্ট থানার চিলাখালী হালসোনা পাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই লাঠি খেলা। উদ্যোক্তারা জানান, লাঠি খেলা স্থানীয় প্রচলিত একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। এই খেলার উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
কেউ কেউ মনে করেন যে, লাঠি খেলা প্রচলিত হয়েছিল মোঘল আমলে, যখন মোঘল সৈন্যরা লাঠি দিয়ে যুদ্ধ করত! আবার কেউ কেউ মনে করেন, লাঠি খেলা প্রচলিত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তখন ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে লাঠি দিয়ে যুদ্ধ হত। তবে লাঠি খেলা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া না গেলেও এই লাঠি খেলা একটি প্রাচীন খেলা, যা বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ে প্রচলিত ছিল বলে মনে করা হয়।
advertisement
এই খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সম্মান বৃদ্ধি করে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে বলেই প্রাচীন কাল থেকে এই খেলা চলে আসছে। মূলত এই লাঠি খেলা এলাকার মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১৮ কেজি খাসি এবং দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ১৬ কেজি খাসি টিমের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই খেলায় এক বা দুজন খেলোয়াড় কিংবা একাধিক জন লাঠি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে লাঠি দিয়ে আক্রমণ ও প্রতিরোধ করে। এইভাবেই চলে এই খেলা।
খেলার রেফারি লালচাঁদ হালসোনা জানান, এই খেলা মোটামুটি ৪০ মিনিট সময় ধরে হয়, কয়েকটি ভাগে খেলা হয়ে থাকে। যেমন সিঙ্গল লাঠি খেলা : এই খেলায় দুজন খেলোয়াড় লাঠি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে লাঠি দিয়ে আক্রমণ ও প্রতিরোধ করে। দলীয় লাঠি খেলা- এই খেলায় দুটি দল লাঠি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে লাঠি দিয়ে আক্রমণ ও প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন- পুষ্টির টানে কমলালেবু উৎসব! নজির গড়ল পটাশপুরের ‘এই’ বিদ্যালয়
আরও কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়ে খেলা পরিচালনা করতে হয়। খেলায় ডিসকোয়ালি বা ফাউল করলে তিন নম্বর কাটা যায়, যতবার ফাউল হবে দলের সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে সেই অনুপাতে নম্বর কাটা যাবে। এভাবে চলতে থাকে খেলা।





