বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে জমির আলের উপর দম্পতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে মুরুটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মৃতদেহ দু’টি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে নারীশক্তির জয়জয়কার! শাড়ি পরে বৈঠা হাতে মহিলারা, সোনাই নদীতে নৌকা বাইচে উপচে পড়ল ভিড়
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে শ্যামলবাবু ও তাঁর স্ত্রী কৃষিকাজের জন্য মাঠে যান। সেই সময় আচমকা ব্যাপক বজ্রপাত শুরু হলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্যরা দ্রুত বাড়ি ফিরে যান। ফেরার পথে দম্পতিকে ডাকাডাকি করা হলেও তাঁরা বৃষ্টির মধ্যেই মাঠে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানিয়েছিলেন, কাজ শেষ করেই ফিরবেন। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য কৃষকরা জমিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের দেহ পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীরে বজ্রাঘাতের একাধিক চিহ্ন মিলেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শ্যামলবাবু ও কুসুমদেবী শান্ত স্বভাবের পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। তাঁদের আকস্মিক মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের আবহ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ, বজ্রঝড়ের সময় মাঠ বা খোলা জায়গায় অবস্থান না করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া একমাত্র উপায়। শ্যামলবাবু-কুসুমদেবীর অকালমৃত্যু আবারও সতর্ক করে দিল, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় অসতর্ক থাকা কতটা ভয়াবহ হতে পারে।