ষাটের দশকে কংসাবতী জলাধার নির্মাণের জন্য বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মোট ১৭৩ টি মৌজা এই প্রকল্পের মধ্যে পড়ে। প্রকল্প তৈরিতে জমি অধিগ্রহণের ফলে রানিবাঁধের পুড্ডি পঞ্চায়েতের ঝরিয়ার বাসিন্দাদেরও গ্রাম ছাড়তে হয়। বাসিন্দাদের মতে গ্রামের জমিদার পরিবার সুবুদ্ধিদের কুলদেবতা লক্ষ্মী-জনার্দন।
আরও পড়ুন: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ রয়েছে বাংলাতেই! অনেকেই ঘুরতে যান, কিন্তু জানেন না কোনটি
advertisement
উচ্ছেদের সময় বিগ্রহ নিয়ে যান তাঁরা। বিগ্রহহীন হয় মন্দির। জলাধার তৈরির সময় বাকি বাড়ি ঘর ভাঙা হলেও ধর্মীয় সংস্কার বা অন্য কোন অজানা কারণে অক্ষত রয়ে যায় মন্দিরটি। বিগ্রহহীন মন্দিরের ছাদের ক্ষতি হয়েছে। বর্ষার মরসুম থেকে তিন চার মাস জলের তলায় চলে যায় মন্দির। বর্তমানে এটাই বিশেষত্ব এই মন্দিরের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুকুটমণিপুর থেকে জলাধারের পাড় হয়ে ভায়া ধানাড়া ওই মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার, জলপথে প্রায় ৮ কিলোমিটার। পরেশনাথ থেকে জলপথে প্রায় দেড় কিলোমিটার জলাধারের বোট চালক সুভাষ বাগদি জানান, মন্দির ঘিরে পর্যটনের প্রসার ঘটলে তাঁদের যাত্রী বাড়বে, বাড়বে আয়ও।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





