মৃত ওই বিচারাধীন বন্দির নাম শেখ মোশাররফ হোসেন ওরফে চাঁদ। তাঁর বয়স ২৮ বছর। তিন ভাতার থানা ধরমপুরের বাসিন্দা ছিলেন। একটি পুরনো মামলায় গত ৩ অক্টোবর মোশারফকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর দিনই ঘরের লক্ষ্মীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, হাড়হিম ঘটনা কাকদ্বীপে
advertisement
সংশোধনাগারে থাকাকালীন শনিবার বিকেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রবিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদ বর্ধমানে ঠাকুর দেখতে এসেছিল। তাঁকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তোলার আগে আমাদের কাছে খবর দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কোনও অসুস্থতা ছিল না আগে থেকে। ভাতার থানা থেকে ফোন করে তাঁর অসুস্থতার কথা জানানো হয়। মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর পরেই ফুটবল কার্নিভালে মেতে উঠল মুর্শিদাবাদের এই গ্রাম
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশ সুয়োমোটো কেস করেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশোধনাগারের ভিতর তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকেদের অভিযোগ। সেই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আদালতে পেশ করার আগে নিয়মমাফিক তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই পরীক্ষার রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই বিচারাধীন বন্দি কেন অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেনই বা তাঁর মৃত্যু হল, সঠিক সময়ে তাকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিনা, তদন্তে এই সব দিকই খতিয়ে দেখা হবে।