স্কুলে উপস্থিত থাকার তথ্য নিয়ে প্রশ্ন-
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দিন স্কুলের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে কিশোরের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা আছে। তবে, তদন্তকারীদের সন্দেহ—কিশোর নিজে স্কুলে গিয়েছিল নাকি তার হয়ে অন্য কেউ প্রক্সি দিয়েছিল। বিষয়টি পরিষ্কার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ।
সন্দেহের মূল কারণ-
ওই দিন সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে কিশোরের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন মেলে কলকাতার সায়েন্স সিটি সংলগ্ন এলাকায়। এরপর তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং আর কোনও টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায়নি।
advertisement
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে আটটার পর কিশোরকে একা মালঞ্চ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে দেখা যায়। মালঞ্চ বাসস্ট্যান্ড ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজে কিশোরকে একা ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।
মূল প্রশ্ন
তাহলে কি সত্যিই ওই দিন কিশোর স্কুলে গিয়েছিল? নাকি স্কুলে তার হয়ে অন্য কেউ প্রক্সি দিয়ে রেজিস্টারে উপস্থিতির কথা লেখা হয়েছে?
তদন্তের অগ্রগতি
পুলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা পরিষ্কার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি, স্কুলের আশেপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই রহস্যজনক মৃত্যুর সঙ্গে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেলে, তদন্তকারীরা হয়তো কিশোরের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উন্মোচনে সফল হবেন।