যদিও এ দিন সকালে মৃতার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ জানানোর পরই বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে৷
গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের সালুকা গ্রামে৷ নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী সুচিত্রাকে নিয়ে ফিরছিলেন মহম্মদবাজারের হিংলো গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ দাস৷ রাতে সালুকা গ্রামের কাছে রাস্তার ধার থেকেই দু জনকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন সুচিত্রা বাগদি৷ তার পাশে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি সন্দীপ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ বছর অন্তরালে, এবার সামনে এলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর ডালিম! বাংলাদেশে তোলপাড়
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করেছিল, ওই যুবকের মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পেয়েই দুষ্কৃতীরা ওই দম্পতির উপরে হামলা চালায়৷ মুখে কাপড় বাঁধা এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিলেন সন্দীপ৷ তার পাশেই মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন সুচিত্রা৷ তাঁর শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল৷ পাশেই পড়েছিল সন্দীপের মোটরসাইকেল৷
আহত অবস্থায় সন্দীপকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ৷ এর পরেই এ দিন সকালে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে মৃত সুচিত্রার পরিবার৷ অভিযোগ করা হয়, সাত মাস আগেই সন্দীপের সঙ্গে সুচিত্রার বিয়ে হয়৷ দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পরেও সন্দীপ সুচিত্রাকে বিয়ে করতে রাজি হননি বলে অভিযোগ৷ এর পর মহম্মদবাজার থানার হস্তক্ষেপে মন্দিরে বিয়ে হয় দু জনের৷
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেও নিয়মিত ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলত৷ গত কয়েকদিন ধরেই নিজের বাপের বাড়িতে ছিলেন সুচিত্রা৷ মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সন্দীপ৷ ফেরার পথেই এই ঘটনা ঘটে৷ ওই যুবক এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারেনি পুলিশ৷ সন্দীপের অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷
