লোককথা অনুযায়ী, সেই সময় জয়চন্ডী পাহাড়ের আশপাশের এলাকা ছিল ঘন অরণ্যে ঢাকা। বনের গভীরে নানা বন্য জন্তু-জানোয়ারের আনাগোনা ছিল, বিশেষ করে বাঘেরা এক লাইন বেঁধে যাতায়াত করত এই পথে। সেই থেকেই স্থানটির নাম হয় ‘বাঘ লাইন’। এই নির্জন ও জঙ্গলে ঘেরা স্থানে কাশ্মীর থেকে এক তপস্বী শ্রীমৎ সদানন্দ ব্রহ্মচারী সাধনা করতে এসে বসবাস শুরু করেন। তপস্যারত অবস্থায় তিনি প্রথমে একটি পাথরকে দেবী রূপে পুজো করতে শুরু করেন।
advertisement
পরবর্তীতে স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে তিনি দেবীর একটি কালী প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেন, এবং সেখান থেকেই শুরু হয় বাঘ লাইন কালী পুজোর যাত্রা। পরবর্তীকালে তপস্বী সদানন্দ ব্রহ্মচারীর দেহাবসানের পর মন্দিরেই তার সমাধি তৈরি করা হয়। এর কিছুদিন পর এক অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে অযোধ্যা থেকে আগমন ঘটে এক কালীসাধকের, যার নাম রাম উদগর পাণ্ডে। তিনি এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় দেবীর নতুন করে মন্দির স্থাপন ও পুজোর পুনরুজ্জীবন ঘটান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজও এই মন্দির স্থানীয় মানুষের ভক্তি ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতার নিদর্শন হিসেবে ‘বাঘ লাইন কালী মন্দির’ পুরুলিয়ার সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে রয়েছে।