নদিয়ার এই গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত হলেও দীর্ঘদিন সেখানে কোনও সর্বজনীন কবরস্থান ছিল না। ফলে গ্রামের কোনও বাসিন্দার মৃত্যু হলে তাঁকে নিজের বাড়ির জায়গাতেই কবরস্থ করতে হত বাধ্য হতেন পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা মিলে একটি সার্বজনীন কবরস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো স্থানীয় মহম্মদ মণ্ডলের একটি জমি ন্যায্য মূল্য দিয়েই কেনা হয়। ফাঁকা মাঠের পাশে নির্জন এলাকায় ওই জায়গাটির ৩০০ মিটারের মধ্যে কোনও জনবসতিও নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: ছুটে এল বম্ব স্কোয়াড, ভোটের শিলিগুড়িতে তুমুল শোরগোল
অমন একটি ফাঁকা জায়গায় কবরস্থান তৈরির বিষয়ে গ্রামবাসীদের কারোর সেরকম একটা আপত্তিও ছিল না। ইতিমধ্যে গ্রামের প্রয়াত বেশ কয়েকজনকে সেখানে কবরস্থ করা হয়। হঠাৎ এই অধীর বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বছরের ১৬ মার্চ তারিখে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে ওই জমির উপর কবরস্থান কমিটির মালিকানা খারিজের দাবি জানান। সেইসঙ্গে বিষয়টি ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী এক নম্বর খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এই প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা কবরস্থান সুরক্ষা কমিটির সম্পাদক ইনসান শেখ জানান, দুঃখের বিষয় আমরা পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গাতেই দেখছি কবরস্থান, ইদগা, দরগা, মসজিদ ছাড়াও বহু মুসলিম ব্যবহারযোগ্য পীঠস্থান সমস্ত কিছুই এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত হয়ে চলেছে, যাদের রেকর্ড আছে পূর্বেই। অতএব সরকারের অধীনে সেই সমস্ত জায়গাগুলি চলে যাচ্ছে। আজ মাঞ্জোয়ান কবরস্থান কমিটির ক্ষেত্রেও সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার নেপথ্যে প্রোমোটার রাজের হাত দেখছেন গ্রামবাসীরা।
মৈনাক দেবনাথ