জানা গিয়েছে, না ছিল ইলেকট্রিক, না ছিল সরকারি কোনও সাহায্য। ঘরের ছাউনি বৃষ্টি ঠেকাতে পারে না, কুপি জ্বালিয়ে রাত পার এমন জীবন যেন কল্পনাকেও হার মানায়।
এই খবর শুনতে পেয়ে আর বসে থাকতে পারেননি সাগরপাড়া থানার ওসি মোঃ খুরশিদ আলম। নিজে ছুটে গেলেন সেই জঙ্গলের ভেতরে গত তিনদিন আগে, সেখানে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন এবং বৃদ্ধার বাড়ি দেখে কথা দিয়েছিলেন “এই ঘরে আলো জ্বলবে, সরকারি সাহায্য পৌঁছবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষার ছোঁয়ায় ফিরেছে প্রাণ, দার্জিলিং অপরূপ! সিটং, তাগদায় পর্যটকদের ঢল, সুযোগ পেয়েও না গেলে বড় মিস
ওসি-র প্রতিশ্রুতি ছিল তিন দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে এবং তিনি কথা রেখেছেন। মুর্শিদাবাদের ওই বৃদ্ধার বাড়িতে মাত্র তিন দিনের মাথায় সেই অন্ধকার ঘরে পৌঁছে যায় ইলেকট্রিকের তার, জ্বলে ওঠে আশার আলো। সঙ্গে ছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী অর্পিতা হালদার। ওসি ও তার পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান বৃদ্ধার বাড়িতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘরের ভেতর নিজের হাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ভাঙা জিনিস গুছিয়ে দেওয়া, আসবাবপত্র ঠিক করা, সবই করেন যেন এক মায়ের ঘরে ফিরে আসা সন্তানের মতো। পুলিশের এমন মানবিক রূপ দেখে স্বাভাবিকভাবেই অবাক এলাকার বাসিন্দারা। কেননা পুলিশ মানেই তো মানুষের কাছে অন্যকিছু।