পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ের নাম কমবেশি সকলেই জানেন ল্যাংচার জন্য। এই শক্তিগড়ের পাশেই বড়শুল গ্রামেই রয়েছে দে বংশের জমিদার বাড়ি। বিখ্যাত এই জমিদার বাড়িতেই একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন দে বাড়ির সদস্য হিমাদ্রী শংকর দে। ডাক টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু তাঁর এই সংগ্রহশালা তৈরি যাত্রা।
আরও পড়ুনঃ নুরপুরে ভাঙন আরও তীব্র! বন্ধ ফেরি পরিষেবা! অভিষেকের নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু মেরামতের কাজ
advertisement
বর্তমানে নিজের বাড়ির একাংশ জুড়ে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন এক ইতিহাসের খনি। তিনি তাঁর সংগ্রহশালাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একটি ঘরে রয়েছে স্বাধীনতার আগের বিভিন্ন জিনিসপত্র। অন্য ঘরে রয়েছে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের জিনিসপত্র যা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। তাঁর সংগ্রহে এমন বেশ কিছু জিনিস রয়েছে যা দেখলে বিস্ময়ে ভরে উঠবে আপনার মন।
সংগ্রহশালার ভেতরে প্রবেশ করলেই যেন এক অন্য জগতে হারিয়ে যাবেন আপনি। প্রথমেই চোখে পড়বে প্রায় দু’শো বছরের পুরনো তালপাতার পুঁথি। আরেকটু এগোলেই দেখতে পাবেন ১০০ বছরের পুরনো পেন , ব্রিটিশ আমলের নানান জিনিসপত্র থেকে শুরু করে জমিদার আমলের জিনিস। তবে, এই সংগ্রহের মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্য ও বিরল জিনিসটি হল, একটি ক্ষুদ্র চালের দানা। এই ছোট্ট দানার উপর অত্যন্ত সূক্ষ্ম অক্ষরে লেখা রয়েছে ১০০টিও বেশি বর্ণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংগ্রহশালার দরজায় পা রাখতেই সময় যেন থমকে যায়। এখানে রয়েছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের এক অসাধারণ মেলবন্ধন। হিমাদ্রী শংকর দের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস যেন এক বিশাল ইতিহাসের আধার, যা আগামী প্রজন্মকে তাদের শিকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এখানের প্রতিটি বস্তুর সঙ্গে জড়িত শত শত বছরের গল্প।