রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মুর্শিদাবাদ সফরের সময় হিংসার শিকার গ্রামবাসীরা উপদ্রুত গ্রামে বিএসএফ পোস্টের দাবি জানান। রাজ্যপালও তাঁর রিপোর্টে আন্তর্জাতিক সীমানায় এই সব হিংসা কবলিত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা বিএসএফ পোস্টের সুপারিশ করেছেন কেন্দ্রের কাছে।
advertisement
রিপোর্টে রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, বাংলার আন্তর্জাতিক সীমানায় মৌলবাদ এবং জঙ্গি কার্যকলাপ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে এখনও মানুষ ভয়ের বাতাবরণে থাকছেন। পরিস্থিতির ফের অবনতি হলে, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সংবিধান অনুযায়ী এ বিষয়ে বিবেচনা করার পরামর্শ রাজ্যপালের।
আরও পড়ুন: সুপারহিট সব ছবির অভিনেতা, এখন সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন! কেন? কারণ শুনলে চোখে জল আসবে
পরিস্থিতির অবনতি হওয়া যদি বজায় থাকে সেক্ষেত্রে ৩৫৬ ধারার সুপারিশ রাজ্যপালের। অনুচ্ছেদ ৩৫৬ কী? ক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের করণীয় কী, সংবিধানের ১৮ নম্বর ভাগে সেই বিষয়গুলি আলোচনা করা হয়েছে। এই ভাগেই অনুচ্ছেদ ৩৫৬-র কথা বলা হয়েছে, যাকে সাধারণ কথায় রাষ্ট্রপতি শাসন বলা হয়। এই অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের সরকার সাংবিধানিক শর্ত মেনে রাজ্য শাসনে ব্যর্থ হলে, কেন্দ্রীয় সরকার সেই রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে বরখাস্ত করে, রাজ্যের আইনি, সাংবিধানিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে।
কোন পরিস্থিতিতে অনুচ্ছেদ ৩৫৬ জারি করা যায়?
যদি কোনও দল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারে এবং মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ব্যর্থ হয়, কোনও বিপর্যয়ের কারণে যথা সময়ে বিধানসভা নির্বাচন না করা গেলে, অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারের পতন ঘটলে, সংবিধান মেনে সরকার পরিচালিত হচ্ছে না বলে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি মনে করলে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি ঘটলে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়।
সাহ্নিক ঘোষ