নিজের দুই মেয়েকে রেখে এসেছেন ঔরঙ্গাবাদে৷ ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন রঞ্জ৷ তার চেয়েও বেশি আতঙ্কে দুই বোনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এর মধ্যেও পরিতোষ ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লড়তে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘হামাগুড়ি বাবু’ কে? মমতার মন্তব্যের পরই শুরু খোঁজ, মাথা চুলকোচ্ছেন তৃণমূল নেতারাও
advertisement
বেতবোনা গ্রামের থেকে তিন মিনিট হেঁটে গেলেই দিখরি হাইস্কুল। স্কুলের সামনে ভারী বুটের শব্দ। কারণ গ্রামের নিরাপত্তায় স্কুলে ক্যাম্প করে রয়েছে বিএসএফ৷ ফলে বন্ধ পঠন পাঠন৷ গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝে উঠতে পারছে না, কবে থেকে শুরু হবে তাদের ক্লাস৷ কবে থেকে তারা দিতে পারবে পরীক্ষা। মধুমিতা ক্লাস সিক্সের ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিয়ে এসেছে ভূগোল পরীক্ষা৷ তারপর? মধুমিতা বলছে, ‘গ্রামে খুব অশান্তি হয়েছে। আমরা গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম। ফিরে এসে দেখি, আর কিছুই নেই৷ সব শেষ। আমার বই, খাতা, ব্যাগ, পোশাক সব পুড়ে গিয়েছে।’ ধুলিয়ান ঘাটের কাছে রয়েছে কাঞ্চনতলা জেডিজে ইন্সটিটিউশন। সেই স্কুলেও পড়াশোনার পাঠ শিকেয়। কারণ ধুলিয়ানের অশান্তির জন্য যে পুলিশকর্মীরা এসেছেন, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কবে আবার ফিরবে পুরনো সময়, অপেক্ষায় পড়ুয়া-শিক্ষক।