রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর বাড়ির এই পুজোয় দেবীর দশভুজা রূপকেই আরাধনা করা হয়। তবে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিনদিন চলে কুমারী পুজো। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চলে হোম যজ্ঞ। সঙ্গে অষ্টমীর দিন ফ্রায়েড রাইস, ভিজে ভাত ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় দেবীকে। দশমীর দিন মা এর ঘট বিসর্জন এর সময় কড়ি ছড়িয়ে বিসর্জন করা হয়। সেই কড়ি কুড়াতে আসেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ইতিহাস মতে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে রাখী বন্ধনের দিন যখন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সঙ্গে ছিলেন তখন কান্দি জেমো এই নতুন বাড়ি তে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বড় মেয়ে গিরিজা দেবী বঙ্গলক্ষ্মী ব্রতকথা পাঠ করেন এবং “বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল পুণ্য হউক পুণ্য হউক” গানটি এই মন্দিরে গাওয়া হয় । বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে এই মন্দির থেকে আন্দোলন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : বর্ধমানেই এবার কাশী বিশ্বনাথ ধাম ! মণ্ডপে ঠাকুর দর্শনে গিয়ে দেখতে পাবেন বেনারসের গঙ্গা আরতিও
এছাড়াও স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্রিটিশ বিরোধী বহু কর্মকাণ্ড এই বাড়ি থেকেই চালানো হত। এই বাড়িতে বন্দুক কারখানা ছিল যা আজ ইতিহাস। বর্তমানে ষষ্ঠ প্রজন্ম এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন। সারা বছর পরিবারের সকল সদস্যরা বাইরে থাকলেও পুজোর চারদিন আনন্দে মেতে ওঠেন এই বাড়িতে।