ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে মুকুন্দবাগ অঞ্চলের সতীচৌরাহ মৌজার বাগান পাড়ায় অবশিষ্ট একটি ধ্বংস স্তুপের চিহ্ন পাওয়া গেছিল। প্রাথমিকভাবে সকলের অনুমান সেটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ বা হিরাঝিল প্রাসাদ।
আরও পড়ুন: ‘অভিশপ্ত বাংলো’, ধ্বংস করেছে তিন সুপারস্টারের কেরিয়ার! ৯০ কোটির আলিশান বাড়ির রহস্য জানেন?
ভাগীরথী নদীর তীরে এই মনুমেন্ট তৈরি করা হবে ৩০০ মিটার জুড়ে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মনুমেন্টকে মানুষ মুর্শিদাবাদকে দেখতে পাবেন, আর সেই প্রস্তাবনা উদ্বোধন করা হল শনিবার। উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ মহকুমা শাসক ডঃ বনমালী রায়। ছোটে নবাব রেজা আলি মির্জা।আনুমানিক ১৭৫২ সাল নাগাদ নবাব আলীবর্দী খাঁ, তার নাতি সিরাজোদ্দৌলার জন্য মতিঝিল প্রাসাদের অনুকরণে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
advertisement
নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলক এর অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল একটি ঝিল, যেই ঝিলের জল সব সময় হীরের মতো চকচক করতো, আর সেই কারণে লোকোমুখে এই স্থানের নাম হয় হীরাঝিল প্রাসাদ।
পলাশীর যুদ্ধের পর কিছুদিন নবাব মীরজাফর আলী খান এই প্রাসাদ ব্যবহার করেছিলেন এবং পরবর্তীতে পলাশীর যুদ্ধের পরে এই প্রাসাদ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে ইতিহাসবিদগণের ধারণা। দীর্ঘদিন পর কয়েক বছর আগে জনসমক্ষে এসেছিল এই হীরাঝিল প্রাসাদ। প্রাসাদের সংরক্ষণের জন্য শুরু হয় আন্দোলন। দীর্ঘ আন্দোলন চললেও সরকারিভাবে এর কোনোরকম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
প্রসাদ সংরক্ষণের দাবীতে তৈরি হয়েছে হীরাঝিল বাঁচাও কমিটি। আর সেই হীরাঝিল বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল হীরাঝিল উৎসব ২০২৪। শনিবার সকাল থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আগামী দিনে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ভাগীরথী নদীর পার বাঁধানো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী সর্মপিতা।
কৌশিক অধিকারী