জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম ঋতু বাগদি। সে বড়ঞা থানার পারশালিকা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্য়রা ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। জানলা ভেঙে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্য় এবং প্রতিবেশীরা। যদিও বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য় কিশোরীর দেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরল প্য়াঙ্গোলিন পাচারের চেষ্টা, কুমারগ্রামে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত কিশোরী বড়ঞা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। সে বাবা- মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। কিশোরীর বাবা দিন মজুরের কাজ করেন। ছোট মেয়ে হিসেবে পরিবারের সবারই আদরের ছিল ঋতু। স্বভাবতই তার এই পরিণতি পরিবার অথবা প্রতিবেশীরা কেউই মেনে নিতে পারছেন না।
নিম্নবিত্ত পরিবারে একটিই স্মার্টফোন ছিল। সেই ফোনেই ফেসবুক অ্য়াকাউন্ট খুলেছিল ঋতু। বন্ধুদের অনেকেও ফেসবুক রিলস তৈরি করেছিল। তা দেখেই ফেসবুক রিলস তৈরির শখ হয়েছিল তার। আর তা করতে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল কিশোরীর।
