অভিযোগকারিণী নবনীতা সরকারের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। কর্মসূত্রে তিনি মুর্শিদাবাদের সুতির সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। বর্তমানে ফরাক্কা ব্যারেজের প্রজেক্ট আবাসনে থাকেন। রবিবার রাতে শিক্ষিকার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। যে তাঁর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিল-এর সমস্যা হওয়ায় পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তার পর রাতের বেলায় হোয়াট্স অ্যাপে মেসেজ আসা নম্বরে শিক্ষিকা সকালবেলায় কল করে।
advertisement
অভিযোগ, প্রতারক শিক্ষিকাকে তার নিজের মোবাইলে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে বলে। অ্যাপস ডাউনলোড করার পর শিক্ষিকাকে দশ টাকা পেমেন্ট করতে বলা হয়। শিক্ষিকা তাঁর মোবাইল থেকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দশ টাকা পেমেন্ট করার পরপরই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে তিন ধাপে ৯৫,৫১০ টাকা উধাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : রশির টানেই বিসর্জন ৪২ ফুট কালীপ্রতিমার, অবাক নিরঞ্জন দেখতে ভক্তের ঢল
তিনি যখন দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এত টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে, তার পর শিক্ষিকা তাঁর ফোন ডিসকানেক্ট করে দেয়। ডিসকানেক্ট করার পর অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনওরকম ট্রানজ্যাকশন করতে পারেননি। বিকেলবেলায় তিনি বাড়ি ফিরে ফরাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারণার সম্পূর্ণ তথ্য জানিয়ে। এই বিষয়ে অভিযোগ হওয়ার পর ফরাক্কা থানা নড়েচড়ে বসে।
আরও পড়ুন : জীবিত দিদিকে 'মৃত' দেখিয়ে সম্পত্তি হরণ ভাইয়ের
শিক্ষিকার আর্জি, এই ধরনের প্রতারণায় যারা জরিত, তারা যেন সামনে আসে এবং সাধারণ মানুষকে এই প্রতারণা সম্পর্কে যেন সরকারিভাবে সচেতন করা হয়। যেন আর কেউ আর এই প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন।