মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চোয়াপাড়া দুর্লভেরপাড়া বিদ্যানিকেতন স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাগ এবং শরীর পরীক্ষার জন্য রাখা আছে মেটাল ডিটেক্টর৷ যখন তখন সেই মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা করছেন স্কুলের শিক্ষকরা৷ আর তাতেই উদ্ধার হয়েছে লুকিয়ে স্কুলে আনা একাধিক মোবাইল ফোন৷
আরও পড়ুন: জন্ম কলকাতায়, সোনালি দিন ফেরাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজি এক বাঙালি! কে এই জয় ভট্টাচার্য?
advertisement
জলঙ্গির স্কুলের এই ব্যবস্থা নিয়ে এলাকায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমান জানিয়েছেন, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসার অভ্যাস বন্ধ করছিল না বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী৷ কো-এড এই স্কুলে ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে পড়াশোনা করে৷ পড়ুয়াদের কাছে মোবাইল থাকায় অপ্রীতিকর কোনও ছবি, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আশঙ্কা ছিল শিক্ষকদের মনে৷ তার উপর পরীক্ষার সময়েও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দেদার টুকলি করত কিছু ছাত্রছাত্রী৷ ছাত্রদের ক্ষেত্রে তল্লাশি করা সম্ভব হলেও ছাত্রীরা কেউ লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে আসলে তল্লাশিতেও সমস্যায় পড়তে হত শিক্ষকদের৷
শেষ পর্যন্ত মাথা খাটিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটি মেটাল ডিটেক্টর কিনে নিয়ে আসেন৷ সোমবার স্কুলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন পড়ুয়াদের নকল করা রুখতে সেই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। আর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষার্থীদের থেকে ধরা পড়ে ৫টি মোবাইল ফোন। যদিও পরে অভিভাবকদের ডেকে মোবাইলগুলি ফেরত দেওয়া হয়৷ স্কুলে মোবাইল ফোন যাতে আর না নিয়ে আসে পড়ুয়ারা, অভিভাবকদের সে বিষয়ে কড়া ভাবে সতর্ক করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ প্রধান শিক্ষকের এই বুদ্ধিতে আপাতত কুপোকাত পড়ুয়ারা৷