রবিবার সকালে কান্দি মহকুমা পুলিশ আরক্ষা আধিকারিক শাসরেক আম্বেরদর সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, গত ২০ অগাস্ট রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রামপুরহাট থেকে বড়ঞার দিকে একটি পাথর বোঝাই কনটেনার আসছিল। সেই গাড়িতে পাথর বোঝাই করে হুগলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তার পিছনেই ‘পুলিশ’ লেখা একটি নির্দিষ্ট গাড়ি যাচ্ছিল, যা সম্পূর্ণ ভুয়ো। ওই গাড়ি নিয়ে কনটেনারের পিছু নেওয়া হয়েছিল।
advertisement
পরে বড়ঞা থানার কুন্ডল এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাথর বোঝাই কনটেনার ডাকাতি করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গাড়ির চালক ও খালাসিকে বেঁধে রাখা হয়। তাঁরা কোনও রকমে ছাড়া পেয়ে গাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান। গত ২১ অগাস্ট রামপুরহাটের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বড়ঞা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বড়ঞা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। টেকনিক্যাল বিভাগ ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩১ অগাস্ট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১২ সেপ্টম্বর আরও ৬ জন গ্রেফতার হন। সবশেষে দলের পান্ডা মাহিদুল আলম ওরফে কাজলকে গ্রেফতার করা হয়।
উদ্ধার হয় ১৮ চাকার ওই কনটেনার গাড়ি। জানা যাচ্ছে, কনটেনারের নম্বর প্লেট ও রঙ পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও অবধি মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার জেরে তিনটি গাড়ি ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।