রোড সাইড ধাবার নাম কালু হোটেল। সেই হোটেলে অন্যতম আকর্ষণ হল একটা টেবিল। যেখানে সাজানো এই সব মুদ্রা। বদর বাবু জানাচ্ছেন, ‘‘এই সব টাকা তাঁকে কেউ গিফট করেছে। কাউকে দিয়ে আবার আনিয়েছেন। এটাই তার নেশা। বদর বাবু জানাচ্ছেন, বিশ্বের নানা দেশে যাওয়ার শখ রয়েছে। কাজের জন্যে তো আর সব জায়গায় যেতে পারি না। তাই যারা বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে গল্প করি। অনেকে যারা আমার হোটেলে খেতে আসেন তারা গল্প শোনান। সেই সব দেশের কথা শুনতে আমার ভাল লাগে।’’
advertisement
আর সেই ভাল লাগায় অনেকে তাকে এই নোট গিফট করেন। সেই সব একটা টেবিলে তিনি সাজিয়ে রেখেছেন। খেতে এসে সবার চোখ আটকায় সেই টেবিলেই। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রতি মুহূর্তে ছুটে বেড়াচ্ছে গাড়ি। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার দিকে আসার সময়ে পড়বে এই ধাবা। এলাকার মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই হোটেল। সন্ধ্যায় স্থানীয় গ্রামের অনেকেই এখানে আসেন চা খেতে, আড্ডা দিতে। তারাও একবার করে ঢুঁ মেরে যান এই হোটেলের টেবিলে। জানতে চান, নতুন কোনও মুদ্রা সংগ্রহে আছে কিনা। হাসিমুখে অবশ্য সব প্রশ্নের উত্তর দেন বদর বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমিও আশা করি একদিন বিদেশ যাব। আমি নিজে থেকে মুদ্রা সংগ্রহ করে রাখব। তবে যতদিন না যেতে পারছি, ততদিন এই টেবিল আমার কাছে বিশ্ব।’’