পুজোর পর মায়ের বিসর্জন হয়ে গেলে সেই কাঠামো আবার মন্দিরে রাখা হয় আগামী বছরের পুজো পর্যন্ত। আর সেই কাঠামোই পুজো করা হয় প্রত্যেক মঙ্গলবার ও শনিবারে। বর্তমানে এটি তিন পরিবার ‘রায়-সেন-মল্লিক’ বাড়ি পরিচালিত একটি পারিবারিক পুজো হলেও সমগ্র গ্রামের মানুষেরই চলে অবাধ বিচরণ।
advertisement
এই পুজো সম্বন্ধে রয়েছে বহু অলৌকিক কাহিনী। শোনা যায়, এই পুজোর মন্দির বর্তমানে যেখানে অবস্থিত সেখানেই প্রথম প্রতিষ্ঠিত নয়। বর্তমান মন্দির থেকে একটু দূরে বর্তমানে যেখানে পশ্চিমী মাঠ অবস্থিত, সেখানে একটি বন ছিল সেখানেই হয়েছিল মায়ের প্রথম পুজো হয়। সেখানে এখনও উঁচু বেদি দেখতে পাওয়া যায়। শোনা যায়, কিছু ছোট ছেলে, যাদের মধ্যে ছিল জাতিধর্ম সমন্বিত। প্রত্যেক মিলে খেলার ছলে মায়ের প্রতিমা গড়ে পুজো করে। পরবর্তীকালে বর্তমান মন্দির পরিচালক পরিবারের কোনও এক পূর্বপুরুষ মায়ের স্বপ্নাদেশ পান, তাকে বন থেকে নিয়ে এসে নতুন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করার এবং বর্তমানের মন্দির সেই মন্দির বলেই জানা যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আরও রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা যেমন, দীর্ঘদিন ধরে যে পুরোহিত মায়ের পুজো করতেন, একবার মায়ের পুজোয় তিনি যখন বসেন তখন প্রত্যেকে লক্ষ্য করেন তার পায়ে কুষ্ঠব্যাধি হয়েছে। এই পুজো দিতে কালীপুজোর রাতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। পুজোর সঙ্গে যুক্ত একজন জানান, মায়ের এই বর্তমান মন্দির সমস্ত ধর্ম-জাতির মানুষের দানেই প্রধানত নির্মিত। তাই কোনও জাতিভেদ এই পুজোয় সম্পূর্ণভাবে বর্জিত। কালীপুজোতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ।