পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার খড়গ্রাম থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-সহ আনিকুল সেখ ও রিয়াজুল সেখকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি, গত ৩১ জুলাই পুলিশ অভিযান নওদা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় নওদা থানার পাটিকাবাড়ির বাসিন্দা নুর ইসলাম সেখকে। এছাড়াও ২৯শে জুলাই ইসলামপুর থানার অন্তর্গত পাহাড়পুর এলাকা থেকে ৭.৬৫ এম এম পিস্তল স্হানীয় গ্রেফতার করা হয় হকদার সেখ ও কাদের সেখ নামের দু’জনকে। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলাতে গত এক মাস ধরে অভিযান চালিয়ে মোট ১৬৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি ৪৭৬টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন থানায় একাধিক জনকে।
advertisement
পুলিশ এও জানিয়েছে, বৃষ্টির মধ্যেই রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার বেড়েই যাচ্ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেলডাঙা ও খড়গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ম্যাগাজিন, ১৫ টি তাজা কার্তুজ এবং ৫৫০ গ্রাম গান পাউডার-সহ গ্রেফতার একজনকে গ্রেফতার বেলডাঙ্গা থানার পুলিশ। বেলডাঙ্গার নতুন হাসপাতালে রোডে কাছে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করে। তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ম্যাগাজিন, ১৫টি তাজা কার্তুজ এবং ৫৫০ গ্রাম গানপাউডার উদ্ধার করে পুলিশ।
তারপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম হাসিবুর রহমান (৪২) সেন্টু, বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা থানার জানকীনগর এলাকায়। তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৭ এমএম আগ্নেয়াস্ত্র, একটি পাইপ গান, দুটি ম্যাগাজিন, ১৫ টি তাজা কার্তুজ এবং ৫৫০ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার হয়। তারপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি, খড়গ্রাম থানার অধীনস্থ ভাটকান্দা গ্রামের মোড়ে পাকা রাস্তায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আশরাফুল শেখ নামে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যক্তির কাছ থেকে একটি দেশীয় লোহার তৈরি পাইপগান (দৈর্ঘ্য আনুমানিক ১০ ইঞ্চি, বডি, ব্যারেল ও বাট লোহার)-সহ একটি (০১) রাউন্ড দেশীয় তৈরি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করে সিজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার কোলাইচণ্ডী ঘাট এলাকায় অভিযান চালায় নওদা থানার পুলিশ , ওই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় তিন যুবক একটি মোটরবাইকে করে নদীয়ার দিক থেকে টুঙ্গীর দিকে যাওয়ার সময় তাদেরকে সন্দেহ হলে আটক করে তাদের কাছে তল্লাশি চালাতে চক্ষু চড়ক পুলিশের, ওই যুবকদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩টি গুলি, দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ, তারপরে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ । সঙ্গে থাকা বাইকটিকেও বাজেয়াপ্ত করে।
পুলিশ সূত্রে ধৃত যুবকদের নাম জানা যায় মকবুল শেখ, আক্তার শেখ, সামিরুল সেখ ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি নওদার টুঙ্গী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃতদের মধ্যে মকবুল শেখ এই চক্রের মূল পান্ডা এবং খুন, যখম সহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। পুলিশের মতে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র বেশিরভাগই মুঙ্গের থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। মুলত ডোমকল ও বেলডাঙা এলাকায় এই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করে রাখছিল দুস্কৃতীরা বলেই পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান।