TRENDING:

মেয়ের বিয়ে দেওয়ার টাকা নেই! সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পুলিশ, অসহায় মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ে দিলেন ওসি

Last Updated:

Police Helps Poor Family: দাঁড়িয়ে থেকে দুঃস্থ পরিবারের মেয়ের বিয়ে দিল পুলিশ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
খড়গ্রাম, কৌশিক অধিকারীঃ নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করতে তৎপর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। কখনও বিয়ে বন্ধ করে পাত্র সহ পুরোহিত, প্যান্ডেল মালিকদেরও নিয়ে এসেছে পুলিশ। তবে এবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে দেখা গেল উল্টো ছবি। গরিব পরিবারের মেয়ের বিয়ে দিলেন খড়গ্রাম থানার ওসি সুরজিৎ হালদার। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এক দুঃস্থ পরিবারের মেয়ের বিয়ে দিল খড়গ্রাম থানার পুলিশ। শেরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এমনটা যে হতে পারে সেটা পাত্রী থেকে শুরু করে গ্রামের বাসিন্দা, কেউই আশা করেননি।
advertisement

জানা গিয়েছে, প্রয়াত বাসার শেখের একমাত্র মেয়ে সুলেখা। অভিভাবক বলতে রয়েছেন মা ফরিদা বিবি। পরিবারে রোজগেরে কেউ নেই। মা ও মেয়েতে মিলে পশুপালন ও হাতের কাজ করে কোনওমতে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন সংস্থান করেন। এভাবেই সংসার চলছিল।

আরও পড়ুনঃ মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে ‘ফুলটুসি’র কাঁধে! ‘ইচ্ছেডানা’য় চেপে বাংলা ভ্রমণ চুঁচুড়ার দম্পতির

advertisement

এদিকে সুলেখার বয়স পঁচিশ হতেই মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় পড়েন ফরিদা বিবি। কিছুদিন আগে সুলেখার জন্য গ্রামেই পাত্র মেলে। পাত্র জেলার শেখ পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি সুলেখাকে বিয়ে করতে রাজি হন। বিয়ে ঠিকও হয়। তবে বিয়ের খরচ জোগাড় করা ফরিদা বিবির পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।

View More

তাই কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় সাহায্য চাইতে বেরিয়েছিলেন তিনি। খড়গ্রাম থানায় গিয়েও সাহায্য প্রার্থনা করেন। পুলিশ সমস্ত বিষয় জানার পর বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

advertisement

বিয়ের আসরে বাকিদের পাশাপাশি পুলিশও নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করে। দাঁড়িয়ে থেকে পাত্রী বিদায়ও করেন তাঁরা। এতটা আশা করেননি সুলেখা। তিনি বলেন, হয়তো কোনও পুণ্য করেছিলাম। নাহলে এভাবে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে কেন? আমার শখ আহ্লাদ সব মিটিয়ে দিয়েছেন পুলিশ কাকুরা।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শুধু শুধুই পড়ে আছে জমি, সুন্দরবনের শিক্ষক দেখাচ্ছেন লাখপতি হওয়ার পথ,নারকেল চাষেই মালামাল
আরও দেখুন

সুলেখার মা বলেন, মেয়ের বিয়ে যে এভাবে দিতে পারব তা গ্রামের লোকও ভাবতে পারেনি। পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অন্যদিকে পাত্র জানায়, বেশ ভালোই লাগছে। আমি ভেবেছিলাম মসজিদে গিয়ে বিয়ে করব। এভাবে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হবে ভাবতেও পারিনি। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় যেখানে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে, সেখানে এক নবদম্পতিকে পুলিশের উদ্যোগে নতুন জীবন দিতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছে পুলিশ প্রশাসনও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মেয়ের বিয়ে দেওয়ার টাকা নেই! সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পুলিশ, অসহায় মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ে দিলেন ওসি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল