যদিও স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘরছাড়াদের সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়েছে। তবে অনেকের অবশ্য দাবি, এরা ঠিক ঘর ছাড়া নয়। এদের পরিবারের অনেক সদস্য এখানেই আছেন। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার কারণে প্রয়োজন ইন্টারনেট। তাই অন্যত্র গেছেন। এনারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রায় প্রতিদিন ধাপে ধাপে গঙ্গা পেরিয়ে আসছেন ঘরছাড়ারা।
আরও পড়ুন-বাগদান হয়ে গেল ঋতাভরীর, পাত্র কে? বলিউডে সবাই চেনে একনামে, রইল নায়িকার হবু বরের ছবি
advertisement
নৌকায় লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে, পুলিশের সঙ্গে কাঞ্চনতলা ঘাটে ভিড়ছে নৌকা। বিডিও ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সহায়তায় তাদের ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।গত কয়েকদিন ধরে মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় পুলিশ, বিএসএফের টহল, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত কথাবার্তা হিংসাকবলিতদের মনে আস্থা যুগিয়েছে। অনেকের বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ। কারও গয়না-টাকা গিয়েছে। কারও চুরি হয়ে গিয়েছে গবাদি পশু। তবে বাড়ি ফিরতে পেরে সকলের মুখে স্বস্তির হাসি। অন্য দিকে, অশান্তি পাকানোয় অভিযুক্তদের ধরপাকড়ও জারি রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে। সামশেরগঞ্জ ছাড়া সর্বত্র চালু ইন্টারনেট, তবে এখনও জারি ১৬৩ ধারা।অশান্তির আবহে যাতে ভুয়ো এবং উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াতে না পারে, সেই কারণে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার একটা বড় অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সমশেরগঞ্জ বাদে জেলার বাকি অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীদের মনের জোর বৃদ্ধি করতে আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে। সিনিয়র আধিকারিকরা যাচ্ছেন পাড়ায় পাড়ায়। একই সঙ্গে অশান্তির কারণে ঘরছাড়ারাও পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে ঘরে ফিরছেন। দোকানপাট, বাজার যেমন খুলছে, তেমনই রাস্তাঘাটে যান চলাচলও শুরু হয়েছে।